মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল আহাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টায় তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
অধ্যক্ষ ডা. আবদুল আহাদ বলেন, খুমেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৯১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একজনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তি সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. আশরাফুর রহমান জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। তিনি হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। যেহেতু তার মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল, তাই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরীক্ষা তার করোনা পজিটিভ এসেছে।
নিহত ব্যক্তির স্বজনরা জানান, ওই ব্যক্তি আইটেল টেকনো মোবাইল ফোন সেটের সার্ভিসিং ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তার অফিস খুলনা মহানগরীর হোটেল গোল্ডেন কিং ভবনের চতুর্থ তলায়। তার স্ত্রী এবং তিন ও ১২ বছরের দু’টি ছেলে আছে। বড় ছেলে সিক্সে পড়ে। তিনি পাঁচদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলেও জানান স্বজনরা।
এদিকে, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার নিজ গ্রাম রূপসা থানাধীন রাজাপুরের ২০ বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, রূপসার মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ির পার্শ্ববর্তী ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/