ফলে পানির চাপ বেশি হলে যেকোন সময় খালের তীর ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জমিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, পানি উন্নয়ন বোডের ডালিয়া ডিভিশনে কর্মরত এমএলএসএস মৃত আব্দুল হামিদ ওরফে কান্দুরা মুন্সির ছেলে ছমির উদ্দিন উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড শৌলমারী গ্রামে তিস্তা সেচ খালের অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে পশ্চিম তীরে পুকুর খনন করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের শৌলমারী গ্রামে তিস্তা সেচ খালের পশ্চিম তীরে টিন দিয়ে ঘেরার আড়ালে প্রায় ৩০ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি খননের কাজ করা হচ্ছে। এসময় সেখান থেকে চল্লিশোর্ধ এক নারী বাইরে আসেন। তার নাম মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, করোনায় যেহেতু লকডাউন ও সরকারি ছুটি চলছে তাই এই ফাঁকে কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছেন। পরে জানা যায় মর্জিনা ছমির উদ্দিনের স্ত্রী।
সেখান থেকে আরেকটু সামনে গেলে দেখা মেলে ছমির উদ্দিনের। তিনি বলেন, এখানে আমাদের এক একর জমি ছিল। সেচ খাল হয়ে সেখানেই জমিগুলো চলে গেছে। তাই বাড়ি করতে সামনের মাটিগুলো দিয়ে পেছনের দিকটা ভরাট করছি। আর এগুলো তো আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তিই ছিল। তাই কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে ডালিয়া ডিভিশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিন সিন ফিরোজ বলেন, যেহেতু খবরটা প্রথম পেলাম। আমি সেখানে যাব। সরেজমিনে দেখে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। তারা দু’জনেই আমাদের পিয়ন। সার্ভিস রুল অনুযায়ী তাদের নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। সেচ খালের ১০০ ফিটের মধ্যে পুকুর খনন করা হলে অবশ্যই তা অপরাধ। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
আরএ