মঙ্গলবার (৫ মে) বিকেলে জেলা শহরের কাগমারা এলাকায় ওই নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আশিক একই এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যের ছেলে ও মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে আশিকের বাড়ির কাছেই লৌহজং নদীতে তার মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় ওই ছাত্রের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ ছিল।
উদ্ধার ছাত্রের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আশিক গত ৩০ এপ্রিল রাতে একই এলাকায় তার প্রেমিকার বাসায় মোবাইলফোন আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে আশিকের মা টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আশিকের বাবা রাশেদুল পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত। তিনি বাংলানিউজকে জানান, কয়েক মাস আগে থেকে প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের আশিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আশিক ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে একটি মোবাইলফোন উপহার দেন। পরে মেয়ের বড় ভাই বিষয়টি জানতে পেরে আশিককে মোবাইলফোন ফেরত নিতে তাদের বাসায় ডাকেন। আশিক গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে ওই মেয়ের বাসায় ফোনটি আনতে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন আশিক।
আশিকের বড় বোন লিমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, তার ভাই আশিক ওই মেয়ের বাসায় মোবাইল আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। মেয়ের পরিবারের সদস্যরা তার ভাইকে গুম করেছেন বলে অভিযোগ তার।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই মেয়েটিকে এবং তার বাবা-মা ও কয়েকজন স্বজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
এসআরএস