বুধবার (০৬ মে) সকালে ধামরাইয়ে ডাউটিয়া এলাকার 'আরুগাস ম্যাটাল প্রাইভেট লিমিটেড' এর শতাধিক শ্রমিক কারখানার সামনে এ বিক্ষোভ করেন। পরে কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতার আশ্বাসের দুই ঘণ্টা পরে তারা চলে যান।
শ্রমিকরা জানান, তাদের কারখানায় প্রায় ১১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। করোনা ভাইরাসের কারণে কারখানা গত ২৬ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করে। এর মধ্যে কারাখানা বন্ধ থাকাকালীন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ফোনে জানিয়ে দেয়, তাদের আর কারখানায় আসতে হবে না অন্য কোথাও যেন চাকরি খুঁজে নেয়। এপ্রিল মাসের বেতন এখনো দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। এপ্রিল মাসের বেতন ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
কারখানাটিতে ৭ বছর ধরে কাজ করেন সাইদুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই মুহূর্তে চাকরি নাই বলে ফোন করে সবাইকে বলা হচ্ছে। আমরা প্রায় ১১০ জন শ্রমিক আছি কারখানায়। চাকরি হারালে আমরা কোথায় যাবো কি করবো এখন তো কোথাও চাকরিও পাবো না।
এ বিষয়ে কারখানাটির প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, কারখানার সামনে শ্রমিকরা এসেছিলো এপ্রিল মাসের বেতনের জন্য। পরে আমরা তাদের সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা চলে যায়।
ফোন করে শ্রমিকদের চাকরি নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রমিক ছাঁটাই করলে শ্রম আইন আছে। এছাড়া ছাঁটাই করলে তো নোটিশ থাকতো কারখানার সামনে। আমরা ছাঁটাই করিনি। তবে কারখানায় বিদ্যুতের লাইন নেই তারপর করোনা দুর্যোগ। কবে না কবে কারখানা খুলবে তার ঠিক নেই। কারখানা না খুললে তো শ্রমিকের প্রয়োজেন নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিকলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শিল্প পুলিশ, শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কারখানা থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আগামী ১৭ মে এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে। এবং সেদিনই শ্রমিকদের চাকরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। এই সিদ্ধন্ত মেনে নিয়ে শ্রমিকরা কারখানা সামনে থেকে চলে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
আরএ