ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঠিকাদার বাশার হত্যা মামলার আসা‌মি শ‌ফি‌কের স্বীকা‌রো‌ক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
ঠিকাদার বাশার হত্যা মামলার আসা‌মি শ‌ফি‌কের স্বীকা‌রো‌ক্তি

ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকায় আবুল বাশার তালুকদার (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অন্যতম হোতা শফিকুল ইসলাম শফিক (২৫) আদাল‌তে স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দি‌য়ে‌ছেন।

সোমবার (১৮ মে) ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যাজিস্ট্রেট শা‌হিনুর রহমান ফোজদারী কার্যবি‌ধির ১৬৪ ধারায় তার জবানব‌ন্দি রেকর্ড ক‌রেন। এরপর তা‌কে কারাগা‌রে পাঠা‌নো হয়।

 

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাতে খিলগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব-৩)।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শ‌ফিকুল। গ্রেফতা‌রের পর গত ১৫ মে তা‌কে দুই দি‌নের রিমা‌ন্ডে পাঠা‌নো হয়। রিমান্ড শে‌ষে সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-প‌রিদর্শক আর‌সেল তালুকদার শফি‌কের স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি রেক‌র্ডের আ‌বেদন ক‌রেন। আ‌বেদন মঞ্জুর ক‌রে বিচারক জবানব‌ন্দি রেকর্ড ক‌রেন।  

শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতা‌রের পর র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, বুধবার (১৩ মে) রাতে আবুল বাশার তালুকদারকে কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই উজ্জ্বল তালুকদার বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে এজাহারনামীয় আসামি শফিকুল ইসলাম শফিককে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিক হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আটক শফিককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানায়, খিলগাঁও এবং রামপুরা এলাকায় অবৈধ ইট, বালুর ব্যবসা এবং মাদকের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। নিহত আবুল বাশার তালুকদার খিলগাঁও ও রামপুরা থানা এলাকায় ইট ও বালু সরবরাহের ঠিকাদারি করতেন।

ইট, বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সাইফুল গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন আবুল বাশার গ্রুপ। এরই পরিপ্রেক্ষিত এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত এ‌লিন মোস্তা‌ফিজ না‌মে আরেক আসা‌মিকে গত ১৬ মে গ্রেফতার করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
কেআই/এমইউএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।