ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩৩ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
৩৩ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৩২ লাখ ৭৭ হাজার টাকার পণ্য পাচার চেষ্টার অভিযোগে দুটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে শুল্ক বিভাগ। গত ২০ মে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদ হোসাইন খান বাদী হয়ে মামলা ২টি দায়ের করেন। 

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করে বিভাগীয় কাস্টমসের কাছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে পণ্যগুলো ছাড় করানোর দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ভারত থেকে দুটি চালানে প্রায় ৫৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের সাইকেলের যন্ত্রপাতি আমদানি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরামবাগের মেসার্স বিএইচ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

এসব পণ্য ছাড় করানোর জন্য ২৩ মার্চ কাগজপত্র দাখিল করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিএন্ডএফ এজেন্ট আমিন ট্রেড এজেন্সি। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে পণ্য ছাড়ে বিলম্ব হয়।  

ছাড়ের কয়েকদিন পর ১৮ মে দুপুরে আমদানিকৃত পণ্যের রাজস্ব না দিয়ে পাচারের অভিযোগে সোনামসজিদে দায়িত্বরত কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার সুনন্দন দাস, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শাহজাহান ওই পণ্য আটকে দেন। আটককৃত পণ্যের রাজস্ব প্রায় ৩২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।  

এ ব্যাপারে কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার সুনন্দন দাস রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্যপাচারের চেষ্টার অভিযোগে পণ্যগুলো আটকে দেওয়া হয়। পরে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদ আল হোসাইন খান বাদী হয়ে ২টি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন।  

তিনি আরও জানান, জব্দ সাইকেলের পার্টসগুলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রাখা হয়েছে।  

এদিকে আটকে রাখা পণ্যের ব্যাপারে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই মাস আগে ভারত থেকে সাইকেলের পার্টসগুলি পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে রাখা হয়। সেগুলি যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে ছাড় করোনের ব্যবস্থা করা হয় গত ১৮ মে। এক পর্যায়ে পরীক্ষার সময় কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের ২ জন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কিছু পণ্য ট্রাকে লোড হওয়ার পর আটকে দেয় গোয়েন্দা বিভাগ। পুনরায় সেগুলো পানামার গুদামে রাখা হয়।  

অপরদিকে পণ্যের বিল অব এন্ট্রি-বি.ই দাখিখকারী আমীন ট্রেড এজেন্সির মালিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রুহুল আমিন শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পরীক্ষা ও শুল্কায়ন করার পর সোনালী ব্যাংক সোনামসজিদ শাখায় রাজস্ব দিয়ে পণ্য ছাড় হয়েছিল। কিন্তু গোয়েন্দা বিভাগ সন্দেহজনকভাবে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ তুলে পণ্য আটকে দেয়। তিনি বিভাগীয় কাস্টমসের কাছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে পণ্যগুলো ছাড় করানোর দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।