সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি নোঙ্গরের পর যাত্রীরা পন্টুনের ওপর উঠতে না উঠতেই নবীনগর ৪শ’, গাবতলি ৫শ’, যেখানেই নামেন ৪শ’ স্লোগান তুলে প্রাইভেটকার ও হায়েস চালকরা যাত্রীদের ডাকছেন। উপচে পড়া মানুষের ঢলে যাত্রীরা ভাড়া নিয়ে দরদামেরও সুযোগ পাচ্ছেন না।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী মজিবুর রহমানের কাছে যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে কীভাবে যাবো সেটাই ভাবছিলাম, পাটুরিয়া ঘাটে এসে ভালো লাগছে, ফেরি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার পেলাম, তবে ভাড়া অনেকটাই বেশি। কিছু করার নেই। তারপরও করোনা সংক্রমণের মধ্যে পরিবার নিয়ে প্রাইভেট কারে যাওয়াই আমি উত্তম মনে করছি।
ভাড়া বেশি নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে পাটুরিয়া ঘাটের ৩ নম্বর পন্টুনে অপেক্ষারত প্রাইভেটকারের চালক জুলহাস বলেন, যাত্রী নিয়ে ঘাট থেকে নবীনগর ও গাবতলীতে ট্রিপ দিচ্ছি। ৪শ’ টাকা নবীনগর আর গাবতলীর ভাড়া ৫শ’ টাকা। ভাড়াটা একটু বেশিই নিচ্ছি, কারণ ঢাকা থেকে আবার খালি আসতে হয়।
ঢাকামুখী মানুষের ভিড়ে যানবাহনের চাপ বেশি উল্লেখ করে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কাল থেকে অফিস-আদালত খোলা, সে জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেশি, তবে সন্ধ্যার পর থেকে এ চাপ কিছুটা কমতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৪ ঘণ্টা, ৩১ মে, ২০২০
এসআরআর/এইচজে