বুধবার (১০ জুন) বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার। ইতোমধ্যেই নিজেদের আইসোলেশনে চিকিৎসা সেবা নিয়ে র্যাব-১১-এর প্রায় সব সদস্যই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সবসময় আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়াসহ পুরো জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোশাকধারী ও অপোশাকধারী সদস্যদের মাধ্যমে বিশেষ নজরদারি করছি। করোনা পরিস্থিতি, আর্থিক অবস্থা সব মিলিয়ে এখন মানুষ ডেসপারেট হয়ে উঠবে, অনেকেই অনেক ধরনের অপকর্ম করতে পারে। তবে আমাদের তৎপরতায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করছি। জেলার সব ব্যবসাকেন্দ্রগুলোও আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নজরদারিতে আছে। আগামীতেও থাকবে।
‘আমরা অনেক আগেই আশঙ্কা করেছিলাম যেহেতু আমরা সরাসরি মানুষের কাছে গিয়েছি, লকডাউন নিশ্চিত করেছি, বাজারে গিয়েছি, জনসমাগম বন্ধ করেছি, পরিবহন সেক্টরে কাজ গিয়েছি, চেকপোস্ট স্থাপন করেছি, ফলে আমাদের বিপুল পরিমাণ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু এ অবস্থাতেও আমরা দায়িত্ব পালন থেকে বিন্দুমাত্র নড়িনি, বরং পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাদক, সন্ত্রাসী ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ’
ইমরান উল্লাহ সরকার আরও জানান, ব্যাটালিয়নের অনেকেই আক্রান্ত হলেও প্রতি রাতে র্যাব-১১ সদর দপ্তরের বাইরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছিলাম, দুস্থ ও মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারে আমরা খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। নিয়মিত টহল কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কাজ করেছি। মার্চ থেকে ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আক্রান্ত হতে শুরু করেন, কিন্তু আমাদের অভিযান থামেনি। মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা গুরুত্বপূর্ণ ২৪টি অভিযান পরিচালনা করেছি। এর বাইরে নিয়মিত অভিযান, বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেফতার, অপরাধ দমন, নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানসহ নানা কাজ অব্যাহত ছিল আমাদের। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন মামলার অর্ধশতকেরও বেশি আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
‘এ সময়ের মধ্যে র্যাব বড় কয়েকটি মাদকের চালানও আটক করেছে। কয়েকজন বড় মাদক ডিলার ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাতদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া থেকে শুরু করে পুরো জেলায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে যেন কোনো অপরাধ সংঘটিত না হয় সে জন্য সতর্ক থেকেছে র্যাব-১১। আগামী দিনগুলোতেও এ ধারা বজায় থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
এমআরপি/এইচজে