বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে জার্মানি ভিত্তিক দুর্নীতি বিরোধী এ সংস্থা।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক নিজের সংবাদের উৎস প্রকাশ করবেন না, এটাই প্রতিষ্ঠিত নীতি।
দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার লিখিতভাবে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। স্বাভাবিক বিবেচনায় এখন এটিই পুলিশ বাহিনীর মূল বিবেচ্য হওয়া উচিত বলে মনে করি। আলোচিত সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনিত ওই অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ এবং গ্রহণযোগ্য তদন্তকে প্রাধান্য দিয়ে, দোষী সাব্যস্ত হলে তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা উচিত। কিন্তু পুলিশের মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী সেই পথে না গিয়ে, বরং চিঠি কী করে গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদেরই সম্মানহানি হচ্ছে। তাদের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
‘আভ্যন্তরীণভাবে অনুসন্ধান করেই জানা সম্ভব চিঠিটা কে ফাঁস করেছে। অথচ এই পুরো প্রক্রিয়ায় যেভাবে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের ওপর দৃশ্যমান একটা চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে আমরা যারা দেশের সাধারণ নাগরিক, তারা আতঙ্কিত বোধ করছি। ’
চিঠিটির সত্যতা পুলিশ বাহিনী অস্বীকার করেনি উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জোরালো ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান। তিনি বলেন, চিঠিটি সত্য হলে যে কোনো একপক্ষ অবশ্যই দায়ী। অথচ পুলিশ কমিশনারের চিঠিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শুধুমাত্র বদলি করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যা কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতির জন্য সাজা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। উল্টো পুলিশ বাহিনী এখন সাংবাদিকদের কার্যত হয়রানি করছে। এমন বাস্তবতায় দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে দুদকের দ্রুত তদন্ত শুরু করা উচিত, যাতে এই ধরনের দুর্নীতির ব্যাপকতা কতটুকু এবং কারা এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িত, তা চিহ্নিত করে যথাযত আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ইইউডি/এইচজে