শুক্রবার (২৬ জুন) রাত ৮টার দিকে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু হয় সাহিমা বেগমের।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লালু জানান, রৌমারী সদর ইউনিয়নের নুরপুর ব্যাপারী পাড়ার আব্দুল হকের মেয়ে সাহিমা বেগম ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করত। গত (১৮ জুন) জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রৌমারীর বাবার বাড়িতে আসেন।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমিনুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন সাহিমা বেগম। গত (২২ জুন) তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুরে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এবং তার হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়।
নমুনা পরীক্ষার ফল আসার আগেই শুক্রবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। ওই নারীর বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মৃত নারীর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
রৌমারী উপজেলায় এর আগে করোনা আক্রান্ত তিন ব্যক্তি রৌমারী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
এফইএস/এএ