ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করেছে বলে মৃত্যুর হার কম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করেছে বলে মৃত্যুর হার কম

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে, ব্যবস্থা নিয়েছে বলেই আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুহার কম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মঞ্জুরি প্রস্তাবের উপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান।  

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের থাকা-খাওয়ার বিলে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাও সঠিক নয় বলে জানান।  
 
আরও পড়ুন>>>স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব সংসদে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনে কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। বন্দরগুলোতে স্ক্যানের ব্যবস্থা করেছি। অন্য কোনো দেশ তখনও এটা করতে পারেনি। আমরাই প্রথম এটা করেছি। চায়না থেকে লোক দেশে এলে আমরা তাদর কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করেছি। আমরা কাজ করছি না এই অভিযোগ ঠিক না।  

‘ডাক্তার নার্সরা প্রথমে আক্রান্ত হয়েছেন কারণ তারা পিপিই কীভাবে পরতে হয় জানতো না। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পেশেন্ট গাইড, লিফলেট, ব্যানার করেছি। প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছি। ’

তিনি বলেন, এই করোনা ভাইরাসের ৮০ শতাংশ উপসর্গ বোঝা যায় না। ১৫ শতাংশের উপসর্গ মাইল্ড। আমাদের দেশে মুত্যুর হার কম, ১ দশমিক ২৬। এই মুত্যুর হার এমনি কম না, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি তাই মৃত্যুর হার কম।

‘আমাদের একটি টেস্ট ল্যাব ছিল। দেড় মাসে আমরা ৬৮টি ল্যাব করেছি। কোটি কোটি মানুষকে তো আর টেস্ট করতে পারবো না। দেশে ৪শ ডেন্টিলেটর রয়েছে। কাজে লাগে মাত্র ৫০টি। সাড়ে তিন শটি পড়ে থাকে। যারা ভেন্টিলেশনে যান দেখা গেছে তারাই মারা গেছেন। কোনো হাসপাতালে সেবা পাচ্ছে না এমন কোনো বিষয় নেই। আমাদের ১৪ হাজার বেড আছে, রোগী আছে ৪ হাজার। মানুষ যদি সচেতন হয়, মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তাহলে সংক্রমণ কমে যাবে।  

‘আমরা কিছু করিনি এটা ঠিক না। বসুন্ধরা হাসপাতাল বানালাম কীভাবে। মাত্র ২৫ দিনে ২ হাজার বেডের হাসপাতাল বানিয়েছি। আমরা কোথাও যাইনি এটা ঠিক নয়। ’

জাহিদ মালেক বলেন, বিএনপির সদস্য স্বাস্থ্য বিভাগের কথা বলছেন কিন্তু বিএনপির আমলে কমিাউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আবার সেগুলো চালু করা হয়েছে। সারা দেশে হাসপতালে আরও ২৫ হাজার বেড বাড়ানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, সবার সহযোগিতা চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।