ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশে গড় আয়ু ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
বাংলাদেশে গড় আয়ু ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও বেশি ফাইল ছবি

ঢাকা: স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কিছুটা বেড়েছে। এখন গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৬ বছর। এটি ২০১৯ সালের হিসাব। এর আগের বছরের হিসাবে, গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। যা ভারত ও পাকিস্তানের থেকে বেশি। পাকিস্তানে গড় আয়ু ৬৭ বছর এবং ভারতে গড় আয়ু ৬৯ বছর। ফলে পাকিন্তান ও ভারতের থেকে বাংলাদেশে গড় আয়ু বেশি।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এ চিত্র উঠে এসেছে।

আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এই প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বিবিএসের হিসাবে, পুরুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক ১ বছর। অন্যদিকে নারীর গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ২ বছর। এর মানে, এ দেশে নারীরা পুরুষের চেয়ে গড়ে বেশি দিন বাঁচেন। ২০১৮ সালে এদেশে গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। এ সময় পুরুষের গড় আয়ু ছিল ৭০ দশমিক ৮ বছর এবং নারীর ৭৩ দশমিক ৮ বছর।

দক্ষিণ এশিয়ায় গড় আয়ু বেশি শ্রীলঙ্কায় ৭৫ বছর। এই অঞ্চলে গড় আয়ু সব থেকে কম আফগানস্তানে ৬৪ বছর। এছাড়া ভুটানে ৭১, নেপালে গড় আয়ু ৭১ বছর।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে মরণশীলতার হারও কম। প্রতি হাজারে জাতীয় মরণশীলতার হার ৪ দশমিক ৯ জন। অন্যদিকে আফগানিস্তানে ৭, ভুটানে ৬, ভারতে ৭, নেপালে ৬, পাকিস্তানে ৭ ও শ্র্রীলঙ্কায় ৭ জন।

বাংলাদেশে প্রতি হাজারে গড় জন্মহার ১৮ দশমিক ১ শতাংশ । দক্ষিণ এশিয়ায় গড় জন্মহার বেশি আফগানস্তানে ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে ভুটানে ১৮, ভারতের ১৯, নেপালে ১৯, পাকিস্তানে ২৮ শতাংশ। জন্মহার সব থেকে কম শ্রীলঙ্কায় ১৫ শতাংশ।

অনুষ্ঠানের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, নারীদের তুলনামূলক রোগবালাই কম হয়। তারা উচ্চ রক্তচাপে কম ভোগেন। তাই তাদের গড় আয়ু বেশি। সারা পৃথিবীর প্রবণতার নারীদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে বেশি।

প্রতিবছর বিবিএস ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রকাশ করে থাকে। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একজন মানুষের জীবনের জন্ম, মৃত্যু, আয়ুষ্কাল, বিবাহের মতো অবধারিত বিষয়ের চিত্র ওঠে আসে।

ভার্চ্যুয়াল সভায় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমূখ অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এমআইএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।