উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খানজাহান আলী রোডে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধন থেকে ব্যবসায়ীরা করোনাকালীন এ সময়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে দোকান উচ্ছেদ না করার দাবি জানান।
এর আগে উচ্ছেদের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ৩১টি দোকানকে লাল চিহ্ন দিয়ে শনাক্তকরণ করা হয়। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিংও করা হয় কেসিসির পক্ষ থেকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৬৭-৬৮ সাল থেকে পৌরসভার কাছে এক সনা বরাদ্দ নিয়ে তারা এখানে ব্যবসা করছেন। অনেকের স্থায়ী ঠিকানায় পরিণত হয়েছে এটি। করোনার কারণে দীর্ঘ তিন মাস তাদের আয় উপার্জন বন্ধ। সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন বিকল্প কোথাও পুনর্বাসনের। কিন্তু সে দাবি হয়েছে উপেক্ষিত।
দোকান মালিক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ জানান, কেসিসি থেকে এক সনা বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘ অর্ধশত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় ৭৩ জন ব্যবসায়ী এখানে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের সামনের ৩১টি দোকান উচ্ছেদের জন্য লালচিহ্ন দিয়ে মাইকিং করা হয়। এ উচ্ছেদ বন্ধ করতে তারা কেসিসি মেয়রের কাছে আবেদন করেছেন।
রূপসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক বাদল মিয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী শাহ আলম, নুর ইসলাম লিটন, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, মোহাম্মদ মুন্না, মোহাম্মদ রাসেল, মো. রুবেল প্রমুখ।
এ বিষয়ে কেসিসির এস্টেট অফিসার মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, রূপসা ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন সড়কের পাশে যে দোকানগুলো আছে এগুলো এখন অবৈধভাবে আছে। দোকানগুলোর এক সময় সিটি করপোরেশন থেকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। বিগত ১০ বছর আগে ভাড়ার চুক্তি বাতিল করা হয়। এখানে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের নতুন একটি হাসপাতাল ভবন হয়েছে। দোকানগুলোর জন্য তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না। সিটি মেয়রের কাছে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস/