তিনি বলেছেন, দেশে ৪০০ ডেন্টিলেটর আছে। কাজে লাগে মাত্র ৫০টি।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, কোনো হাসপাতালে সেবা পাচ্ছে না, এমন কোনো বিষয় নেই। আমাদের ১৪ হাজার বেড আছে, রোগী আছেন চার হাজার। মানুষ যদি সচেতন হয়, মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখে, তাহলে সংক্রমণ কমে যাবে।
‘আমাদের শুরুতে একটি টেস্ট ল্যাব ছিল। দেড় মাসে আমরা ৬৮টি ল্যাব করেছি। কোটি কোটি মানুষকে তো আর টেস্ট করতে পারব না। ’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের থাকা-খাওয়ার বিলে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা ঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের বিলে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এই হাসাপাতালের ৩৭০০ লোক ৫০টি হোটেলে এক মাস থেকেছেন। আমি বিল দেখেছি। পার রুমের ভাড়া ১১০০ টাকা, দিনে তিনবার খাবারের জন্য ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। সংসদে যে হিসাবে দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, এটা সঠিক না।
তিনি বলেন, ডাক্তার-নার্সরা প্রথমে আক্রান্ত হয়েছেন, কারণ তারা পিপিই কীভাবে পরতে হয় জানতেন না। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পেশেন্ট গাইড, লিফলেট, ব্যানার করেছি। প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছি।
‘আমরা কিছু করিনি এটা ঠিক না। বসুন্ধরা হাসপাতাল বানালাম কীভাবে। মাত্র ২৫ দিনে দুই হাজার বেডের হাসপাতাল বানিয়েছি। আমরা কোথাও যাইনি এটা ঠিক নয়। ’
আরও পড়ুন>> ‘ডাক্তার-নার্সদের থাকা-খাওয়ার বিলে অনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এসকে/টিএ