ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘করোনা গরিবের রোগ হলে সরকার গুরুত্বই দিত না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
‘করোনা গরিবের রোগ হলে সরকার গুরুত্বই দিত না’

ঢাকা: ‘নগর দরিদ্ররা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। অথচ তারাই নগর ও দেশের প্রতি সর্বোচ্চ দায়িত্বটা পালন করেন। এই করোনাকালের বাজেটেও তাদের ভাগ্যে কিছুই রাখা হচ্ছে না। বরং নিম্ন আয়ের মানুষকেও ২০০ টাকা খরচ করে করোনা টেষ্ট করাতে হবে। কিন্তু এ টাকা তারা কোথায় পাবেন? করোনা যদি গরিবের রোগ হতো, তাহলে এ বিষয়টিতেও সরকার গুরুত্ব দিত না।’

মঙ্গলবার (৩০ জুন) ‘নগর দারিদ্র্য, করোনা সংকট ও বাজেট ভাবনা’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এ অভিমত ব্যক্ত করেন আলোচকরা।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক, কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ) ও পরিবেশ বার্তার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি লাইভ করা হয়।

আলোচনায় কাপ’র চেয়ারম্যান ডা. দিবালোক সিংহ বলেন, নগর দরিদ্রদের জন্য এ বাজেটে কিছু রাখা হয়নি। করোনাকালের বাজেট হওয়া উচিত ছিল সব শ্রেণির মানুষের কথা বিবেচনা করে। আমরা দেখলাম করোনা মোকাবিলায় রাখা হয়েছে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় কোনো সুস্পষ্ট বৈজ্ঞানিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। তাইতো সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণও আমরা দেখতে পাইনা।

বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা: লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনা যদি গরীবের রোগ হিসেবে পরিচিতি পেতো, তাহলে সরকার একে কোনো গুরুত্বই দিত না। এরপরও এখন যেভাবে তারা কাজ করছে, আমাদের সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে হয়তো।

তিনি বলেন, নগরের নিম্ন আয়ের মানুষ কীভাবে কয়েকশ’ টাকা খরচ করে করোনা টেস্ট করাবে। যেখানে তাদের দুই বেলা খাবার জোটানোই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী আজ আমাদের সামনে একটাই বার্তা প্রাণ প্রকৃতি ও মানুষকে একসঙ্গে বাঁচতে শিখতে হবে। কারণ এ ধরনের মহামারি আরও আসতে পারে বলে ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা ঘোষণা দিয়েছেন।

অধ্যাপক দেবাশীষ কুন্ডু বলেন, রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করছে না। তাহলে এখনও কেন সে বেসরকারি উদ্যোগের দিকে চেয়ে থাকবেন। সরকারের উচিত এসব লোক দেখানো কথা ও কাজ বন্ধ করে প্রকৃত অর্থে মানুষকে বাচাঁনোর উদ্যোগ গ্রহণ করা।

সাংবাদিক আলমগীর স্বপন বলেন, নগরের নিম্ন আয়ের মানুষদের পরিস্থিতি সত্যিই খুব খারাপ। সরকারের উচিত এই মানুষদের রক্ষা করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আলোচনা সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নগর গবেষক ও বারসিক সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম। আরও আলোচনা করেন কাপের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, বারসিকের গবেষক সুদিপ্তা কর্মকার, বস্তিবাসী নেত্রী রাফেজা বেগম প্রমুখ।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন নগর গবেষক ও পরিবেশ বার্তার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।