মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের হাবিবনগর চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল সিদ্দীকি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জসিম উদ্দিন জানান, গত ১২ জুন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন ও জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের উপস্থিতিতে রূপগঞ্জ ইউনিয়নকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ লকডাউনকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ২৪ ঘন্টা কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
লকডাউনের ১৯তম দিনে মঙ্গলবার হাবিবনগর এলাকার চেকপোষ্টের দায়িত্বে ছিলেন রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল সিদ্দীকি। সঙ্গে দায়িত্বে ছিলেন আরো দুইজন পুলিশ সদস্য। এদিন সকাল ১০টার দিকে লকডাউন এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে সিয়ামসহ পিতলগঞ্জ এলাকার মৃত সামসুদ্দিনের ছেলে জামান ও মৃত তারাজুলের ছেলে পারভেজ বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলটিকে সিগন্যাল দেওয়া হয় কিন্তু সিগন্যাল অমান্য করে ওই তিনজন মোটরসাইকেলটি নিয়ে দ্রুত গতিতে চলে যায়। পরে পূনরায় লকডাউন এলাকায় প্রবেশের সময় মোটরসাইকেলসহ তাদের ফের সিগন্যাল দেয় পুলিশ। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন পুলিশকে গালিগালাজ ও ধমক দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে পুলিশ লকডাউন অমান্যকারীদের আটক করতে যায়। এসময় সিগন্যাল অমান্যকারীসহ ১০-১৫ জনদের সমর্থকরা ওই এসআইসহ পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। এসময় পুলিশ হামলাকারীদের ধাওয়া করে সিয়ামকে আটক করে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। ওই তিনজনের মধ্যে জামান নারায়ণগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল তল্লাশীকারক হিসেবে চাকরি করছেন।
এ ব্যাপারে ’গ' সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাহিন ফরাজী বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এমএইচএম