মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মঞ্জুরি প্রস্তাবের উপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা এ দাবি জানান।
বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সব করতে হয়।
শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে লেখাপড়া করাদের নিয়োগ দেওয়া দরকার। কোনো অবস্থাতে যাতে স্বাস্থ্যখাত ভেঙে না পড়ে সেটা দেখতে হবে।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, হাসপাতালে টেকনিশিয়ার সীমিত। দুপুর ১২টার পর আর পরীক্ষা করানোর টেকনিশিয়ান পাওয়া যায় না। টেকনিশিয়ার নিয়োগ দিতে হবে। বছরে এক কোটির উপরে মানুষ ভারতে চিকিৎসায় যায়।
জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে মীনা কার্টুনের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মীনা কার্টুনে পরিণত হয়েছে আর মন্ত্রণালয় চলছে টিয়া পাখির দ্বারা। মানুষ আমাকে বলে সংসদে বলবেন প্রধানমন্ত্রী যেন বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়ে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে স্বান্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।
রওশনারা মান্নান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ে দুর্নীতি আছে। করোনার সময় কী কাজ করা হয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একটা বিবৃতি দেওয়া উচিত, মানুষকে জানানো উচিত। উনি কী করেছেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, করোনা যখন চীনে শুরু হয় তারপর ফেব্রুয়ারিতেই আমি সংসদে বলেছিলাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম স্বাস্থ্য সচিব একেক সময় একেক কথা বলছেন। তখন স্বাস্থ্য সচিব বললেন, গরমে করোনা হবে না। আবার এখন বললেন দুই-তিন বছর করোনা থাকবে। একটি নির্দেশনা দেন এমপি-মন্ত্রীকে বাধ্যতামূলক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন। বেসরকারি হাসপাতালে বা বিদেশে যাবে না, অতি জরুরি না হলে। এ নির্দেশনা দেন তাহলে সরকারি হাসপতালের চিকিৎসার অবস্থা ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এসকে/এএ