নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর পাটক্ষেত থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন (২০) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে উপজেলার রান্ধুনীবাড়ী চরের পাটক্ষেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হয়। সে ওই গ্রামের লালচাঁন শেখের ছেলে। আটক সুমন একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, শিশু ইয়ামিন নিখোঁজের বিষয়ে গত ২৭ জুন থানায় সাধারণ ডায়রি করেন তার বাবা লাল চাঁন শেখ। এরপর তদন্তের পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে শিশুটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলে। তদন্তের সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে সন্দেহভাজন সুমনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ইয়ামিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন সুমন। তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো স্থান রান্ধুনীবাড়ী চরের একটি পাটক্ষেত থেকে শিশু ইয়ামিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সুমন বলেন, ঘটনার দিন ইয়ামিনকে রান্ধুনীবাড়ীর চরের পাটক্ষেতে নিয়ে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখায় সুমন। পাটক্ষেতের মধ্যে ভিডিও দেখার সময় তার সঙ্গে থাকতে বললেও ইয়ামিন রাজী হয়নি। এ কারণে তাকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ ওই পাটক্ষেতেই রেখে পালিয়ে যায় সুমন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
আরএ
