ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যমুনার পানি আরও বেড়েছে, পদ্মার পানিও বিপৎসীমার উপরে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২০
যমুনার পানি আরও বেড়েছে, পদ্মার পানিও বিপৎসীমার উপরে

ঢাকা: যমুনার পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটারের উপরে উঠে গেছে। ফলে যমুনা অববাহিকতায় বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই। আর পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অববাহিকাতেও নতুন করে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্ৰহ্মপুত্ৰ-যমুনা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বর্তমানে স্থিতিশীল আছে, যা আগামী বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে।

‘গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

আর মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহ পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। ’

এদিকে বুধবারের (১ জুলাই) মধ্যে যমুনা নদীর পানি আরিচায় ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদ্মার পানি নদীর ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে পদ্মার পানি ইতোমধ্যে গোয়ালন্দে ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে উত্তরের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির সমতলে ভাটার টান পড়েছে। ফলে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আর সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

পাউবো পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে ১৫টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গত সোমবারের (২৯ জুন) চেয়ে বেশি। সবচেয়ে বেশি উঁচুতে প্রবাহিত হচ্ছে বাহাদুরাবাদে যমুনা নদীর পানি। বর্তমানে এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার (সেমি) উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জামালপুর, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, বগুড়ার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বর্তমানে কুড়িগ্রামে ধরলা পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, গাইবান্ধায় ঘাঘটের পানি ৫৩ সেমি উপর দিয়ে, নুনখাওয়ায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৫৯ সেমি উপর দিয়ে, চিলমারীতে ৭০ সেমি উপর দিয়ে, যমুনার পানি ফুলছড়িতে ৮৩ সেমি উপর দিয়ে, সারিয়াকান্দিতে ৬৬ ও কাজিপুরে ৭০ সেমি উপর দিয়ে ও সিরাজগঞ্জে ৪১ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া আত্রাইয়ের পানি বাঘাবাড়িতে ২১ সেমি, এলাসিনে ধলেশ্বরীর পানি ১৯ সেমি, গোয়ালন্দে পদ্মার পানি ২০ সেমি, সুরমার পানি কানাইঘাটে বিপৎসীমার ১৩ সেমি উপর দিয়ে, কুশিয়ারার পানি সুনামগঞ্জে ১৫ সেমি উপর দিয়ে, পুরাতন সুরমার পানি দিরাইয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত কয়েকদিনের তুলনায় কমে গেছে। বর্তমানে ৪০ মিলিমিটারের নিচে নেমে এসেছে বর্ষণ, যেটা গত সপ্তাহের শেষভাগে ১০০ মিলির উপরে ছিল।  

এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ‍অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
ইইউডি/ডিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।