ঘটনার পর অভিযুক্ত বন্ধু ইদ্রীস আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের বাংলাবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পরে সকালে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ।
নিহত জহুর আলীর বাড়ি জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নে। তিনি বাংলাবান্ধা এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে পাথর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভোর ৪টার দিকে জহুর আলীর ঘরে ঢুকে তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন ইদ্রীস। এসময় জহুরের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ইদ্রীস পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা জহুরকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবু সাঈদ বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইদ্রীস ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এসআই