ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে লিকেজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২০
বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে লিকেজ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের নদীগুলোতে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দিনগত রাত থেকে আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ৪০টি স্থানে লিকেজ দেখা দিয়েছে। লিকেজ বন্ধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া একই দিন সকাল ৯টায় ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত থেকে আবার পানি বাড়তে থাকে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ইতোমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলার ১০১টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামের অভ্যন্তরীণ কাঁচা সড়কগুলো তলিয়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।    

ইতোমধ্যে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ৪০টি লিকেজ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে তাড়াই ও গাড়াবাড়ি সড়কে ১০টি পয়েন্ট অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভূঞাপুর উপজেলার তাড়াই, গাড়াবাড়ি, চুকাইনগর, অর্জুনা ও কুঠিবয়ড়াসহ ৭টি গাইড বাঁধ পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ লিকেজ বন্ধ করতে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনরাত কাজ করছে।  

পাউবোর কর্মীরা লিজেক বন্ধে বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহার করছে। জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে বালু ও জিও ব্যাগ মজুদ করে রাখা হয়েছে। এ সড়ক ভেঙে গেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুর, ঘাটাইল, মধুপুর ও কালিহাতী এ চারটি উপজেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

টাঙ্গাইলের সব নদীতে আবার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, গোপালপুর ও নাগরপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্ন ও চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।  

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, হুগড়া, কাতুলী, মামুদনগর, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী, নিকরাইল, কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর, গোহালিয়াবাড়ি, সল্লা, দশকিয়া, গোপালপুর উপজেলার হেমনগর, নগদাশিমলা, ঝাউয়াইল এবং নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ, ভাড়রা, মোকনা, পাকুটিয়া ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।  

বন্যা কবলিত ও চরাঞ্চলের মানুষ তাদের বাড়ির ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। লক্ষাধিক পরিবার ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যমুনায় পুনরায় পানি বৃদ্ধির ফলে তারাকান্দি-ভূঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে লিকেজ দেখা দিয়েছে। সেগুলো বন্ধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ অব্যাহত রয়েছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা সড়কের লিকেজ ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।