ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

গাইবান্ধায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ৪৪ বছরের পুরোনো বিদ্যালয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২০
গাইবান্ধায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ৪৪ বছরের পুরোনো বিদ্যালয়

গাইবান্ধা: টানা চার দিন ধরে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে থাকলেও শুক্রবার (৩ জুলাই) তিস্তার পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। 

এদিকে জেলার সাঘাটা উপজেলায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ৪৪ বছরের পুরোনো গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি।

শুক্রবার বিকেলে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৭ সেন্টিমিটার ও ঘাঘটের পানি ৬ সেন্টিমিটার কমেছে।

তবে ব্রহ্মপুত্র এখনও বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।  

অন্যদিকে করতোয়ার পানি ১০ সেন্টিমিটার কমেছে আর তিস্তার পানি স্থিতাবস্থা থেকে শুক্রবার হঠাৎ ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে করতোয়া ও তিস্তা এখনও বিপৎসীমার অনেকটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান।

তিস্তায় হঠাৎ পানি বাড়ায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আবার নতুন করে বন্যার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।  

এদিকে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার উপরে থাকায় বানভাসী মানুষের বাড়ি ঘর থেকে পানি এখনও নামতে শুরু করেনি। তাই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও বাঁধে আশ্রিতদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটের কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
 
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সাঘাটায় যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি।

সাঘাটার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেম বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠসহ দু'টি ক্লাস নদী গর্ভে চলে গেছে। যেকোনো সময় সম্পূর্ণ ভবনটি নদীতে বিলীন হতে পারে, তাই আমরা বাকি ক্লাসরুম গুলো সরে নিয়ে যাচ্ছি।

বিদ্যালয়ের  প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন  বাংলানিউজকে জানান, আমি এই বিদ্যালয় ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা করি। ভাল ফলাফলের কারণে বিদ্যালয়টি উপজেলার সেরা স্কুল হিসেবে চার বার নির্বাচিত হয়েছে। বিদ্যালয়টি যমুনা নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সবাই হতাশ হয়ে পড়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।