ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিচ্ছেদের পর আবার বিয়ে, অতঃপর খুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
বিচ্ছেদের পর আবার বিয়ে, অতঃপর খুন

ঢাকা: একসঙ্গে গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে ২০০৬ সালে বিয়ে। পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ বছর পরেই বিচ্ছেদ। সম্প্রতি যোগাযোগের সূত্রে আবারো বিয়ে করেন ওই স্ত্রীকে। তবে এবার মাস না পেরোতেই কলহের জেরে স্ত্রীকে খুন করেন মিরপুরের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম।

সোমবার (৬ জুলাই) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার আগলা গ্রাম থেকে মফিজুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

র‌্যাব জানায়, গত ২৮ জুন আশুলিয়ার হাবুডাঙ্গা ফুজি গার্মেন্টেসের কাছে একটি পুকুর থেকে রেবেকা বেগমের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মফিজুল ইসলাম (৩২) পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের মা খোদেজা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়াতদন্তের ধারাবাহিকতায় খুনি মফিজুল ইসলামকে আটক করা হয়।

আটক মফিজুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) এএসপি সালাউদ্দিন জানান, আটক মফিজুল বর্তমানে পেশায় একজন হকার এবং তার স্ত্রী ভিকটিম রেবেকা বেগম একজন গার্মেন্টস কর্মী। ২০০৬ সালে গার্মেন্টেসে চাকরির সুবাদে রেবেকাকে বিয়ে করেন মফিজুল। তাদের সংসারে একজন কন্যা সন্তান আছে। তবে পারিবারিক কলহের জেরে বিয়ের পাঁচ বছর পরে তাদের বিচ্ছেদ হয় এবং মফিজুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

গত ৬ মাস আগে নিহত রেবেকা বেগমের সঙ্গে আবারো যোগাযোগ হয় মফিজুলের। সেই সূত্রে গত ৬ জুন তিনি আবারো রেবেকাকে বিয়ে করেন। মফিজুল মিরপুর এলাকায় এবং রেবেকা আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। বিয়ের পর মফিজুল মাঝে মধ্যে রেবেকার বাসায় থাকতেন। তবে রেবেকা প্রায়ই একসঙ্গে বসবাসের জন্য বলতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হতো। গত ২৭ জুন রাতে রেবেকা মফিজুলকে ফোন করে তার মিরপুরের বাসায় চলে যান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

পরবর্তীতে ২৭ জুন রাতেই কল্যাণপুর বাসস্টান্ড থেকে স্ত্রী রেবেকাকে নিয়ে আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মফিজুল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আশুলিয়ার ফুজি গার্মেন্টেসের পেছনে আবারো বাকবিতণ্ডার জেরে রেবেকাকে গলা টিপে হত্যা করেন মফিজুল। মরদেহ গুম করতে পুকুরে ফেলে দিয়ে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। মফিজুলের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
পিএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।