ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অফবিট

প্রবাসীবান্ধব শীর্ষ ৫ দেশ

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
প্রবাসীবান্ধব শীর্ষ ৫ দেশ নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউন শহর

বিশ্বায়নে আরো সংযুক্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রবাসী মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুসারে, ২৪৪ মিলিয়নের বেশি বাইরের দেশের মানুষ বসবাস করছেন বিভিন্ন দেশে, যা  ২০০০ সাল থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

বিদেশিদের জন্য বেশি বন্ধুভাবাপন্ন দেশ খুঁজে বের করতে সম্প্রতি ১৯১টি দেশে জরিপ করা হয়েছে। ১৪ হাজারের বেশি প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে শীর্ষস্থানীয় ৫টি দেশের তালিকা করা হয়েছে।

আয়, কাজ সামর্থ্য ও জীবনের ভারসাম্য এবং স্থানীয়দের আতিথেয়তা ও পারিবারিক জীবনসহ প্রবাসী জীবনের ৪৩টি বিভিন্ন মাপকাঠি বিবেচনায় শীর্ষ দেশগুলো হচ্ছে- তাইওয়ান, মালটা, ইকুয়েডর, মেক্সিকো ও নিউজিল্যান্ড।  

উষ্ণ স্বাগতপূর্ণ সংস্কৃতি এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসের সুযোগ তাইওয়ানে অধিকাংশ প্রবাসীর জীবনযাত্রাকে সহজ করে তুলেছে। বিশেষত স্থানীয়রা সব সময় সাহায্য করতে ইচ্ছুক।

অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা মনিকা মিজি বলেন, ‘তাইওয়ানীয়দের সাহায্যের মানসিকতা, ব্যপ্তি ও ধৈর্য দেখে আমি বিস্মিত। তাইপে শহরের কেন্দ্রস্থলে বাসভবন, শপিং, রেস্টুরেন্ট, প্রদর্শনী, রাস্তাসহ চলচ্চিত্রে অভিনয় পর্যন্ত সর্বত্র বিদেশিদের অবাধ প্রবেশাধিকার ও সুযোগ রয়েছে। জীবনযাত্রাও অন্যান্য এশীয় রাজধানী শহরের তুলনায় সাশ্রয়ী মূল্যের।


মালটার উষ্ণ আবহাওয়া এবং ইউরোপের নৈকট্য বিভিন্ন জাতির মানুষের বসবাসের পক্ষে সহায়ক। জলবায়ু, আবহাওয়া এবং জীবনের গতির উপাদানগুলোও সেখানে বাসস্থান গড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

রোম থেকে আসা সিলভিয়া ডি ফেলিস বলেন, ‘রাজধানী ভালেত্তার স্ট্রবেরি উৎসব, আন্তর্জাতিক চিত্র উৎসব, ভাল্লেত্তা চলচ্চিত্র উৎসব ও বিশেষ ওয়াইন উৎসব ছাড়াও স্থানীয় খাদ্য উৎসবগুলোর আধিক্যের সঙ্গে দেশটির বড় বড় সাংস্কৃতিক আয়োজন প্রচুর হয়। মাল্টার বিদেশিবান্ধব কর পদ্ধতিও প্রবাসীদের জন্য মর্মস্পর্শী’।

বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ, সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা এবং সুস্বাদু ও সস্তা খাদ্য ইকুয়েডরকে জরিপে তৃতীয় শীর্ষ প্রবাসীবান্ধব দেশের মর্যাদা দিয়েছে।

ইসরায়েল থেকে আসা হাগাই গাট বলেন, ‘ইকুয়েডরের বৈচিত্র্যময় শহর ও রঙিন সংস্কৃতি প্রবাসীদের জন্য বিপুল আকর্ষণীয়। দেশটির অ্যামবাটো, কুইটো, গুইয়াকুইল এবং কুয়েঙ্কা শহরের সংস্কারমুক্ত ব্যবসা, সাশ্রয়ী ব্যয়, এমনকি উত্তর আমেরিকান রন্ধনপ্রণালী বেশ উপভোগ্য’।


মেক্সিকোও তার উষ্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে স্থানীয়দের স্বাগত জানানো এবং একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খাদ্যসমৃদ্ধ জীবনযাত্রা দিয়ে প্রবাসীদের সুখী রাখে।

ইরান থেকে আসা সামিরা হোসেইনি বলেন, ‘মূলত বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতি, সৈকত, বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট এবং হাজার বছরের ঔপনিবেশিক শহরগুলো মেক্সিকোকে আশ্চর্যজনক দেশে পরিণত করেছে। বিশেষ করে, লা কন্ডেসা, লা রোমা, এস্কান্ডন এবং ন্যাপোলেসসহ মেক্সিকো সিটির কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোর আনন্দময় রন্ধনপ্রণালী,  সাশ্রয়ী মূল্যের রেস্টুরেন্ট, বার এবং ক্লাবে সহজে প্রবেশগম্যতা, সহজ যাতায়াতের মেট্রো বাস, মেট্রো ট্রেন, ইকো-সাইকেল সিস্টেম এবং বাসিন্দাদের ইংরেজির জ্ঞান প্রবাসীদের আত্মীকরণকে সহজতর করেছে’।

নিউজিল্যান্ডের অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সারা বিশ্ব থেকে আসা মানুষের বসবাসের উপযোগী। শহর ও সৈকতে সহজেই প্রবেশ এবং স্থানীয়দের নিরুদ্বেগ জীবনধারা প্রবাসীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়েছে।

হংকং থেকে আসা পূর্ভা ভাতনাগার বলেন, ‘স্থানীয়দের দয়ালু ও বন্ধুত্বপূর্ণ জীবনধারা এবং পরিবেশ ছাড়াও এখানকার রাস্তা, কাজ, ওভারটাইম, খাবার, সপ্তাহান্তের ভ্রমণ ও তাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো- সবই বেশ উপভোগ্য। ওয়েলিংটন একটু কম জনবহুল হলেও রাজধানী হিসেবে এর প্রাচুর্য আছে’।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।