ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার চিহ্নিত আওয়ামী সমর্থক’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার চিহ্নিত আওয়ামী সমর্থক’ জাগপার আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: বর্তমান নির্বাচন কমিশনারকে চিহ্নিত ‘আওয়ামী লীগ সমর্থক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাগপা আয়োজিত ‘পিলখানা ট্র্যাজেডি: কেন এই সেনা হত্যা? কার স্বার্থে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে যে রূপরেখা দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়ন হয়নি।

যে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে তার প্রধান কে এম নুরুল হুদা আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সমর্থক ছিলেন। রকিব মার্কা আর একটি নির্বাচন কমিশন দিয়ে আবারও ভোটবিহীন সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করার চেষ্টা করা হলে জনগণ আর তা মেনে নেবে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়ার মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মাইনাস টু ফর্মূলা বাস্তবায়নের জন্য একই চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছিলো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও। তার মামলা যদি সব বাতিল হয়ে যায় তাহলে সেই একই মামলায় খালেদার সাজা হবে কী করে!

তিনি আরও বলেন, আইন করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। আর এখন অলিখিতভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর তারই ধারবাহিকতায় পিলখানা ট্র্যাজেডি হয়েছে। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই পিলখানা হত্যাকাণ্ড হয়। আর তখন শেখ হাসিনা গণভবনে তিন বাহিনীর প্রধানকে বসিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু কাদের স্বার্থে তাদের হত্যা করা হলো? বিডিআর এর নাম মুছে দেওয়া হলো? সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভোটারবিহীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে।  

গণতন্ত্র আজ বাক্সবন্দি মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুলিশ দিয়ে সাধারণ মানুষকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। বাকশালের নতুন সংস্করণ শেখ হাসিনার সরকার।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর কর্মকর্তাদের জোর করে একের পর এক অবসর দেওয়া হয়েছে। বাকশালও কিন্তু টেকেনি। মীর জাফর, ওমি চাঁদদেরও পতন হয়েছে। সুতরাং পট পরিবর্তন হবে। শেখ হাসিনা ইতিহাস ভুলে যেতে পারেন, কিন্তু আমরা ভুলে যাইনি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা ভুলে যাবেন না। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা ছাড়া নির্বাচন হবে কিনা তা ভাবুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
ইউএম/আরআর/এসএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।