ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন দেশী এবং বিদেশি, এই দুই ধরণের পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য অনুমোদন দেবে বলে আইনে উল্লেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশী পর্যবেক্ষকরা ইসিতে আবেদন করে নিবন্ধন নেয়।
জানা যায়, সর্বশেষ ১২০টি সংস্থাকে ২০১১ সালে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। যাদের পাঁচ বছর মেয়াদকাল ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিগত কমিশন পরবর্তীতে নতুন করে নিবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি না করে ওই সংস্থাগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ ২০১৬ সালেই এক বছর বৃদ্ধি করে। এরফলে সংস্থাগুলো মেয়াদকাল ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে গিয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সে মেয়াদও শেষ হয়েছে দুই মাস হলো। ফলে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে কোনো পর্যবেক্ষক নেই।
ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপ সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, পর্যবেক্ষকরা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম প্রভাবক। কেননা তারা দল-প্রশাসন সবার ওপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। গণমাধ্যমের মতো তারাও নির্বাচনে ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করে। এজন্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক থাকা খুব জরুরি।
খোদ ইসি কর্মকর্তারাই যখন এমন ভাবছেন, সে সময় বুধবার (২২ মার্চ) গাইবান্ধা-১ আসনের উপ-নির্বাচনও কোনো পর্যবেক্ষক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া আগামী ৩০ মার্চ রয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচন। এ দুইটি বড় নির্বাচনও পর্যবেক্ষক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে অনেক কর্মকর্তা বলছেন।
এ বিষয়ে ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নিবন্ধনের বিষয়টি নিয়ে আগামী কমিশন সভায় আলোচনা করা হতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধনের মেয়াদ আরও বাড়াতে হবে, না হলে নতুন করে আবার নিবন্ধন পেতে সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যে আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
জানা যায়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আরপিও-১৯৭২ সংশোধন করে প্রথমবারের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষক নীতিমালাও তৈরি করা হয়। এরপর ২০১০ সালে নীতিমালা সংশোধন করে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করে।
**গাইবান্ধা-১ উপ-নির্বাচনের সব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
ইইউডি/এনটি