বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলাটির রায় দেবেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে আদালতে হাজির হন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ।
মামলার অন্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও আদালতে হাজির হয়েছেন।
চার আসামির অন্যজন একেএম মুসা শুরু থেকে পলাতক।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের ২৫ বছর পর রায় দেওয়া হচ্ছে।
১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৩ সালের ১১ জুন মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানিতে তৎকালীন বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত বিব্রতবোধ করেন। পরবর্তীতে মামলাটির বিচারের ভার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ন্যস্ত হয়।
মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জুর আহমেদসহ মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ১৫ মে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এরশাদ। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্য দেন। মামলার অন্য দুই আসামি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও সেদিন আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন।
গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের মাধ্যমে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বিমান বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার কেনার আবেদন জানান। জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুইটি লো লেভেল রাডার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
কিন্তু পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অন্য আসারিরা পরস্পরের যোগসাজসে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে তারা রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমআই/এএসআর