কিন্তু তিনি(প্রধানমন্ত্রী)যাওয়ার আগেই সেখানে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করে গেছেন। আজই প্রথম জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদল এ আলোচনাসভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়ে পরিষ্কারভাবে বলেছেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে, সেটা স্পষ্টতই জাতিগত নিধনের শামিল। এটা গণহত্যা, এটা বন্ধ করতে হবে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ৯ জন বিশ্বনেতাও মায়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন। অথচ বাংলাদেশ সরকার এখোনো দ্বিধার মধ্যে আছে। তারা দোষারোপের রাজনীতি করছেন।
রোহিঙ্গা গণহত্যায় মায়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব না আনায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, গতকাল জাতীয় সংসদে তারা প্রস্তাব এনেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারকে চাপ দিতে হবে। কিন্তু গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়নি। এ কারণে আমরা এই সংসদকে নিন্দা জানাচ্ছি।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বিজিবির যৌথ অভিযানের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না, এই অভিযান কাদের বিরুদ্ধে! যে রোহিঙ্গাদের নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে? বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়:১৫২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এজেড/জেএম