ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মানহানির মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
মানহানির মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর নবীর আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১২ নভেম্বর।

এর আগে গত ০৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে ১২ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়ে শেষবারের মতো সময় মঞ্জুর করেন আদালত। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর একই আদালত খালেদা জিয়াকে ০৫ অক্টোবর স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই দিনের আদেশে আদালত বলেছিলেন, ‘মামলাটিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুরুতর নয়। শুধু মানহানি সংক্রান্ত, যা জামিনযোগ্য অপরাধ। আসামিকে আগামী ০৫ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া গেল। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

গত বছরের ০৩ নভেম্বর এ বি সিদ্দিকী ঢাকার সিএমএম আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার প্রয়াত স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়েছিল।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান মামলাটিতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর গত ২২ মার্চ তা আমলে নিয়ে খালেদা জিয়াকে ১১ জুন হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন আদালত।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। ওই মন্ত্রিপরিষদে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা প্রকাশ্য ও আত্মস্বীকৃত পাকিস্তানের দোসর হিসেবে নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন- সেই জামায়াত, ছাত্রশিবির, আলবদর ও আলশামস সদস্যদের মন্ত্রী ও এমপি বানান। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন’।

‘তাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার সরকারের মন্ত্রিত্বপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মুত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকাকালে মন্ত্রিত্বের সুবিধা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তাদের বাড়ি-গাড়িতে ব্যবহার করেছেন’।

প্রচলিত আইনে মৃত ব্যক্তির বিচারের সুযোগ না থাকায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।     

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।