সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাজাহান চৌধুরী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে সহযোগিতার নির্দেশ দেন বিএনপির চেয়ারপারন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সবাইকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা ভালো কাজ করেছেন এবং করছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) কক্সবাজার সার্কিট হাউজ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের উদ্দেশে রওনা দেন বিএনপির চেয়ারপারসন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সার্কিট হাউজ থেকে উখিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পথে হিমছড়ি, পেঁচার দ্বীপ, রেজুখাল সেতুর দুই প্রান্ত, উখিয়ার সোনাপাড়ায় বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী তাকে স্বাগত জানান।
দুপুর ১টায় পালংখালী ইউনিয়নের ময়নার ঘোনা (শফিউল্লাহ কাটা) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে সেখানে তিনি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন এবং রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তাদের ওপর মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতনের কথা শোনেন।
এ সময় এক রোহিঙ্গা মায়ের কোলে তার শিশু সন্তানকে কাঁদতে দেখে শিশুটিকে কোলে নিয়ে আদর করেন ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া।
পরে হাকিমপুর ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ শেষে বালুখালীর পানবাজারে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) একটি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এএম/এমজেএফ