মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির পরে নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি সারাদেশে আগুন সন্ত্রাসের যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সে স্মৃতি এদেশের মানুষ এখনও ভুলেনি।
‘এতে বিএনপি আবারও মনে করিয়ে দিল, এটা তাদের পুরানো অভ্যাস। বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাসের ঘটনা শুরু করতে চাই কী না, ঢাকা ফেরার পথে ফেনীতে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা তারই একটি টেস্ট কেস দেখালো দলটি’।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের নয়, বঙ্গবন্ধু পুরো বাঙালি জাতির। তার ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বীকৃতি দেওয়া। গোটা বিশ্বে প্রায় ৩৫ কোটি বাঙালি রয়েছে। আজকের এই স্বীকৃতি বাঙালিদের জন্য একটা বিশাল অর্জন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রম দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। তাই জাতি হিসেবে এই স্বীকৃতি আমাদের পাওনা ছিল। এই অর্জনে আমরা গর্বিত, অগণিত মানুষ খুশি। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের গ্রামেগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণ প্রচার শুরু হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে অনেক নেতাই ভাষণ দিয়েছেন। অনেকে দেখে দেখে বক্তব্য দিয়েছেন। অনেকে নোট নিয়েছেন। কিন্তু একাত্তরের উত্তাল মার্চে বঙ্গবন্ধু কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই বক্তব্য দিয়েছেন। সেই ভাষণ বাঙালি জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছে। সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতিকে প্রেরণা দেয়, উদ্দীপনা জোগায়।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ৩৫ কোটি বাঙালি গর্বিত
ওবায়দুল কাদের জানান, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির কথা তিনি রাজশাহীতে আসার পথে বিমানবন্দরে শুনেছেন। এরপরই তিনি বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সভা ডেকেছেন। সেখানে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। শহর থেকে গ্রাম-সবখানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে রাজশাহী সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনারর কথা শোনেন এবং পরে দিক নির্দেশনা দেন। ওই সভায় সওজ রাজশাহী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ পরবর্তী নির্বাচনের জন্য রাজনীতি করে না। শেখ হাসিনা রাজনীতি করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। সব উন্নয়নমূলক কাজ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত শেষ হবে না। তাই বলে কি বড় বড় প্রকল্পগুলো আমার এগিয়ে নিয়ে যাবো না। বন্ধ করে রাখবো সব কাজ? তা না, তা কোনোভাবেই করা যাবেনা। সংসদ নির্বাচনের আগেই সব সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে।
পরে সন্ধ্যায় তিনি রাজশাহী সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এসএস/এসএইচ