ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রানাকে আদালতে হাজির না করায় ফের পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
রানাকে আদালতে হাজির না করায় ফের পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে বুধবার (১ নভেম্বর) আদালতে হাজির না করায় ফের পেছাল আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

এবার ‘পাইলসের’ কারণে তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি বলে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে জানিয়েছে। এর আগে ১৮ অক্টোবর ‘কোমড়ে ব্যথার’ কারণে রানাকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি।


 
টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় বুধবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষীর জন্য বুধবার মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ, ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুন হাজিরা দেয়।

কারাগারে আটক আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী, মো. সমিরকে আদালতে হাজির করা হয় এবং জামিনে থাকা আসামি মাসুদুর রহমান, ফরিদ ও নুরু হাজির হন।

এদিকে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয় মামলার প্রধান আসামি এমপি রানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি পাইলসে ভুগছেন। তার শারিরীক অবস্থা ভ্রমণ উপযুক্ত নয়। তার অস্ত্রপচার হবে। তাই তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে বিচারক মো. আবুল মনসুর মিয়া সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এদিকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় তারা এমপি রানা ও তার ভাইদের বিচারের দাবিতে মিছিল বের করে। মিছিলটি আদালত এলাকা প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

এতে বক্তব্য রাখেন-নাহার আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন প্রমুখ।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

এ মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ০১ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।