এর আগে বেলা ১১টায় খালিশপুরের ঈদগাহ ময়দানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরীজুড়ে তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে মহানগরীতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। তাকে স্বাগত জানাতে শহরের প্রবেশ পথসহ প্রধান প্রধান সড়কে তৈরি করা হয়েছে শত শত তোরণ। বড়-ছোট সব রাস্তাতেই শোভা পাচ্ছে প্যানা, ব্যানার ও ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবহেলিত মানুষের কাছে গুরুত্ব বহন করছে। উন্নয়নের পাশাপাশি প্রত্যাশা নিয়ে এরইমধ্যে বিভিন্ন দাবি করা হচ্ছে উন্নয়ন কমিটি আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে। নির্বাচনের বছর হওয়ায় এই সফরের রাজনৈতিক গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ ও খুলনা সিটি নির্বাচন চলতি বছরেই অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে তার সফরে উজ্জীবিত তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও।
শনিবার বেলা ৩টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে ৪৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
যেসব প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গল্লামারী-বটিয়াঘাটা-দাকোপ-নলিয়ান ফরেস্ট সড়ক, রূপসা-শ্রীফলতলা-তেরখাদা সড়ক, কেডিএ খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক-কাম-প্রশাসনিক ভবন, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন, চালনা মোবারক মেমোরিয়াল কলেজের একাডেমিক ভবন, খুলনা আইডিয়াল কলেজের একাডেমিক ভবন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাডেমিক ভবন, খুলনা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, মহেশ্বরপাশা সরকারি শিশু পরিবার হোস্টেল ভবন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবন, মেডিকেল কলেজের অডিটরিয়াম ভবন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল ভবন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা (খুলনা অংশ) সড়ক, পাইকগাছা কৃষি কলেজ, বটিয়াঘাটা ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমেজিং ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘এ’ ব্লকের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সেস ডরমেটরি, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ ডরমেটরি, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাংকার, খুলনা সদর হাসপাতালকে ১৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, সিভিল সার্জনের অফিস ভবন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের আবাসিক ভবন, দিঘলিয়া উপজেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, এএসপি ‘ক’ সার্কেল অফিস, দৌলতপুর থানা ভবন, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অস্ত্রাগার ভবন, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ফায়ারিং বার্ট, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অস্ত্রাগার ভবন, জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ভবন, রূপসা উপজেলা মডেল মসজিদ, আলিয়া মাদরাসা মডেল মসজিদ, ডুমুরিয়া ভদ্রা নদীর উপর ৩১৫.৩০ মিটার লম্বা পিসিগার্ডার ব্রিজ, বটিয়াঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেক্স ভবন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা হবে শনিবারের জনসভা। পুরো খুলনা শহরই হবে জনসভাস্থল। প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে বরণের জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২ , ২০১৮
এমআরএম/জেডএস