ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, ৭ই মার্চের ভাষণ তার প্রমাণ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৮
ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, ৭ই মার্চের ভাষণ তার প্রমাণ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: এদেশে ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানোর কোনো অধিকার ছিল না। যেখানেই বাজানো হতো সেখানেই বাধা দেওয়া হতো। তবুও আমি বলেছি সব বাধা উপেক্ষা করেই ৭ই মার্চে ভাষণ বাজাতে হবে। এ ভাষণ বাজাতে গিয়ে অনেকে নির্যাতিত হয়েছেন, আহত হয়েছেন। তবুও এ ভাষণ বাজানো থেমে থাকেনি।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপল‌ক্ষে বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যা‌নে আ‌ওয়ামী লীগ আ‌য়ো‌জিত সমা‌বেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় একটা ভাষাভিত্তিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিতি লাভ করিয়েছিলেন জাতির পিতা।

এদেশের মানুষ ছিল শোষিত-বঞ্চিত, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, রাজনৈতিক মুক্তির জন্যই ছিল জাতির পিতার আন্দোলন-সংগ্রাম। ফলাফল- তিনি গ্রেফতার, নির্যাতিত হয়েছেন, বারবার বন্দি হয়েছেন। আমাদের যুবসমাজ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করেছে।

কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য মাত্র সাড়ে ৩ বছর হাতে সময় পেয়েছিলেন জাতির পিতা। এ অল্প সময়ে একটা দেশকে অনেক দূর নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জাতির পিতা সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে (১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট) চরম আঘাত আসে। কী অন্যায় তিনি করেছিলেন? দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।

যে দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে সে দেশের উন্নয়ন কীভাবে হবে বলেও প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ০৭ মার্চ, ২০১৮
এসকে/এসএম/এসআইজে/এইচএ/এএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।