সোমবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন।
এর আগে সকাল পৌনে ১১টায় ১৫৯ পৃষ্ঠার এই রায় পড়া শুরু হয়।
২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পাঁচজনকেই গ্রেফতার করা হয়।
ইসহাক সিকদার ছাড়া অন্য চারজন হলেন- আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সুলাইমান মৃধা।
আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ ছয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ওই সময়ে হত্যা ও ১৭ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এখনও আটজন বীরঙ্গনা জীবিতও রয়েছেন।
ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, আটক নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের দু’টি দায়ে এই পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, উচ্চ আদালতে আপিল করবে আসামিপক্ষে। আশা করি সেখানে তারা খালাস পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
ইএস/আরআর