ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে রোববার (২৩ জুন) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, পলাশীর বিপর্যয় তখনই ঘটেছিলো যখন অর্থনীতির ওপর থেকে তৎকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে চলে গিয়েছিলো।
তিনি বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্যের নামে এদেশে প্রবেশ করে স্বাধীনতা হরণ করেছিলো। কেউ যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সরকারসহ সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছিলো, তারা সবাই শাসকগোষ্ঠীর অংশ ছিলো। আমরা সবাই বলি, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, অথচ কেউ আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেই না
মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, পলাশীর পতন ছিলো একটি জাতিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জিঞ্জিরে আবদ্ধ করার প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র। পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হবার পর বিদেশি ও দেশীয় বেনিয়াদের যোগসাজশে যে লুটপাটের রাজত্ব শুরু হয়, ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। পলাশীর যুদ্ধে সিরাজ-উদ-দৌলার পতন কোনো একক ব্যক্তির পতন ছিলো না, এটি ছিলো একটি স্বাধীন জাতির পতন।
ন্যাপ নগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলুর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, জনদল মহাসচিব সেলিম আহমেদ, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মো. শামীম ভূঁইয়া, মহিলা সম্পাদিকা সাদিয়া ইসলাম ইমন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/