সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে দ্বিতীয়বারের মতো নামফলকটি ভাঙচুর করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালের জুনে প্রথম ভাঙা হয়েছিল নামফলকটি।
এবার নামফলক ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য ফৌজিয়া রহমান প্রিয়ন্তী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন বড়াই, ইসলাম শিক্ষা বিভেগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিরাজ হোসেন, পরিসংখ্যান ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী তমাল হাসান, মনোবিজ্ঞান ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী তামিম, রসায়ন ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস, পারভেজ ও আদনান রাসেল প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিথুন বড়াই বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়া একজন অপরাধী এবং অপরাধ প্রমাণ হওয়ার কারণে সাজাপ্রাপ্ত। একজন দেশদ্রোহীর নামফলক দেশের স্বনামধন্য একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণ প্রজন্ম তা হতে দেবো না।
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত। আজ আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি। কারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। এদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বাংলানিউজকে বলেন, আমি এই মুহূর্তে সাংগঠনিক সফরে থাকায় এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।
সর্বশেষ প্রেমঘটিত সংঘর্ষের জেরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিলুপ্ত হয় জবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি। এরপর গত জুলাইয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
কেডি/টিএ