ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরের ইউনিভার্সাল স্টুডিও এক অপূর্ব স্বপ্নরাজ্য

মাহমুদ খায়রুল, কুয়ালালামপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
সিঙ্গাপুরের ইউনিভার্সাল স্টুডিও এক অপূর্ব স্বপ্নরাজ্য ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে: হলিউডের অন্যতম প্রডাকশন হাউজ ইউনিভার্সাল স্টুডিও’র এশিয়ার সর্ববৃহৎ থিমপার্ক তৈরি হয়েছে সিঙ্গাপুরে। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ঘুরতে আসছেন এই স্বপ্নপুরীতে।



পুরো পার্কটিকে রয়েছে ছয়টি স্বপ্নরাজ্য। প্রথমটির প্রবেশপথেই দেখা যাবে হলিউড। লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডের এক প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে এখানে। মনে হবে, সত্যি সত্যি আপনি হলিউডের রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। এখানে দেখা মিলবে বিভিন্ন হলিউডি নায়ক এবং নায়িকাবেশী মানুষের। রয়েছে বিখ্যাত মিনিয়ন রাজ্য এবং দুষ্টামিতে ভরা সিসেমি স্ট্রিট, যা বাংলাদেশে সিসিমপুর নামেই বিখ্যাত।

কিছুদূর হেঁটে যেতেই চোখে পড়বে হলিউডের বিখ্যাত পরিচালক স্টিফেন স্পিলসবারগ পরিচালিত কিছু অ্যানিমেশন ইফেক্ট। তার পাশেই ভেন ডিজেলের মূর্তি। আসল না মমি দিয়ে বানানো তা শনাক্ত করাও বেশ কঠিন ব্যপার।

হলিউডের রাস্তা শেষ হতেই আপনি প্রবেশ করবেন বিশাল সাই সিটিতে। এখানে অপেক্ষা করছে ট্রান্সফরমার খ্যাত সব সেনারা। অপ্টিমাস প্রাইম এবং বাম্বেল বি এর দেখা মিলবে এখানে। আর অভিজ্ঞতা মিলবে এ অসাধারণ ৪ডি রাইডের। লোমহর্ষক এক অভিজ্ঞতা।

সাইফাই সিটির আরও ভয়ঙ্কর রাইড হল রোলার কোস্টার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ভয়ঙ্কর রোলার কোস্টার রাইড এটি। দুর্বল হার্টের মানুষের জন্য এটিতে চড়া একদম মানা।

সাইফাই সিটির উঠোন পেরোলেই আপনাকে স্বাগত জানাবে মিশরের বিশালাকায় মমি। এটি পুরনো মিশর নামেও পরিচিত। পুরো এলাকাকে সাজানো হয়েছে মমির মূর্তি দিয়ে। আছে আনন্দময় কিছু রাইডও।

মিশরের পরেই পা দিতে হবে ডাইনোসর রাজ্যে, দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড-জুরাসিক পার্ক। প্রধান ফটক দেখে মনে হবে, আপনি সত্যি সেই ছায়াছবির মধ্যে রয়েছেন। বিশাল ডাইনোসরের মূর্তি আর গাছ-গাছালি ঘেরা জুরাসিক পার্কের আনন্দ বাড়িয়ে দেবে বিভিন্ন ওয়াটার রাইড।

জুরাসিক পার্কের গণ্ডি পেরোলেই বিখ্যাত অ্যানিমেশন মুভি শ্রেকের ফার ফার এওয়ে স্বপ্নরাজ্য। এখানে দেখা মিলবে শ্রেক, ফিওনা, ডঙ্কি এবং পুস ইন বুটের। এ চরিত্রগুলো সবার মাঝেই বেশ জনপ্রিয়। আর কিছু দূরেই আছে মাদাগাস্কারের পেঙ্গুইন, সিংহ, জলহস্তি এবং জিরাফদের নৃত্য।

পুরো পার্কটি এতো বড় যে একদিনে পুরোটা ঘুরে দেখা বেশ কষ্টের। আর শনি এবং রোববার হলে তো কোনো কথাই নেই। ওই দু’দিন আলাদা আলাদা আরও বাড়তি চমক নিয়ে পরিবেশন করা হয় পার্কটি।

সিঙ্গাপুরের ইউনিভার্সেল স্টুডিওতে প্রবেশ মূল্য ৭৫ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার। মেট্রোরেলের ভিভো সিটি মলের সেন্টোসা স্টেশন থেকে যাওয়া যাবে সহজেই।

সিঙ্গাপুর ভ্রমণকে এক আলাদা আনন্দময় করে তুলবে এ স্বপ্নরাজ্য। তাই ভ্রমণের সময় ঘুরে আসতে ভুলবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।