বলা যায়, নিজেদের পাতানো ফাঁদেই পড়েছে টিম ইন্ডিয়া। বোলিং সহায়ক উইকেটে অজিদের ২৬০ রানে আটকে রেখে স্বাগতিক দর্শকদের উচ্ছ্বাস নিমেষেই হতাশায় রূপ নেয়! দলীয় ৯৪ রানে রাহুল-রাহানের পঞ্চাশ রানের জুটি ভাঙে।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টেস্টের নাম্বার ওয়ান টিমের ব্যাটিং লাইনআপ। ১১ রানের মধ্যে সাত উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় ডোবে স্বাগতিক শিবির। সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে ওপেনার লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে। মুরালি বিজয় ১০ ও অজিঙ্কা রাহানে ১৩ রান করে আউট হন। আর কেউই দুই অঙ্কের দেখা পাননি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০৪ ইনিংস পর রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় ব্যাটিং ‘স্তম্ভ’ বিরাট কোহলি (০)। ভারতীয় অধিনায়ককে ফেরানো মিচেল স্টার্ককে ঘিরে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতে গোটা অজি টিম। দলীয় ৪৪ রানের তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। রাহুল-রাহানের পার্টনারশিপে খানিকটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ রক্ষা হলো না!
একাই ছয়টি উইকেট দখল করেন বাঁহাতি স্পিনার স্টিভ ও’কিফি। স্টার্ক দু’টি ও একটি করে নেন জস হ্যাজেলউড, নাথান লিওন।
১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের ৪৫৯ রানের জবাবে এমন ব্যাটিং ধসের শিকার হয়েছিল ভারত। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৮ রানে শেষ সাতটি উইকেটের পতন হয়েছিল। ওই ম্যাচটিতে প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে (১৬৪ ও ২৯৬) ফেলে ১০ উইকেটের দাপুটে জয় পায় কিউইরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম