ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নীতিমালায় বল টেম্পারিংয়ের (বলের আকৃতি পরিবর্তন) মতো অপরাধে আজীবন নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে। তাই এমন প্রশ্ন উঠছে চারদিকে।
কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে (২৪ মার্চ) অজি ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল বিকৃতি করার মুহূর্তটি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়। পরে জানা যায়, বল টেম্পারিংয়ের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। সংবাদ সম্মেলনে তা স্বীকার করে নেন স্মিথ।
এ নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড়ই ওঠে। লজ্জায় ডোবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটীয় ঐতিহ্য। কলঙ্কের পর হতাশা আর ক্ষোভ উগরে দেন অজিদের সাবেক গ্রেটরা। ম্যাচের মাঝপথে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় স্মিথকে।
কলঙ্কের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাজেভাবেই হেরেছে সফরকারীরা। ৩২২ রানের দাপুটে জয়ে চার ম্যাচ সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে প্রোটিয়ারা। জোহানেসবার্গে চতুর্থ ও শেষ টেস্ট ৩০ মার্চ থেকে। যেটি মিস করবেন বিতর্কিত-সমালোচিত স্মিথ।
সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্মিথের পাশাপাশি সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন। চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। সিএ’র আচরণবিধি বল টেম্পারিং ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ইতোমধ্যেই দ. আফ্রিকায় গেছেন সিএ’র নৈতিকতা বিভাগের প্রধান লেইন রয় ও দলের পারফরম্যান্স ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড। তারা পুরো ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখবেন। কথা বলবেন স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফ্টের সঙ্গে।
শুনানির পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কতটা গুরুতর শাস্তি আরোপ করবে তা তখনই জানা যাবে। সবার চোখ এখন সেদিকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ২৬ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম