মুখোমুখি ম্যাচে এগিয়ে থাকবেন কারা? প্রশ্নটা দুই দেশের বোলিং বিভাগ নিয়ে থাকলেও ব্যাটিং বিভাগকে হিসাবের বাইরে রাখতে মোটেই রাজি নন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তার মতে, দুই দলের শক্তির জায়গা দুই রকম।
রোববার (২৭ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন রিয়াদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং সাইড অবশ্যই বেশি অভিজ্ঞ। তবে বোলাররাও পিছিয়ে নেই। কিন্তু আমার মতে আফগানিস্তানের বোলিং বেশি ধারালো।
ভারতের দেরাদুনে ৩, ৫ ও ৭ জুন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শেষ চার বছরে দুই দল টি-টোয়েন্টি খেলেছে মাত্র একটি। আর এই চার বছরে আফগানিস্তান যে উন্নতি দেখিয়েছে, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। তাই কোনোভাবেই দলটিকে হালকাভাবে নিতে নারাজ রিয়াদ।
দুই দলের শক্তির জায়গা তুলনা করে রিয়াদ বলেন, দুই দলের শক্তির জায়গা দুই রকম। আমাদের ব্যাটিং শক্তি একরকম। অবশ্যই আমাদের ব্যাটিং গভীরতা এবং অভিজ্ঞতা ওদের চেয়ে এগিয়ে। ওদের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স খুব ভালো। বোলিং খুবই ভালো। তারকা ক্রিকেটারও আছে। খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এর বাইরে সহজ কোনো অপশন নেই।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের সামনের প্রশ্নবোধক চিহ্নটা সরে গেছে’
তবে আফগানিস্তানের থেকে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ এগিয়ে এমনটাই মনে করেন সহ-অধিনায়ক। বলেন, যদি পেস আক্রমণ দেখেন, ওদের চেয়ে আমাদেরটা বেশি সমৃদ্ধ। রুবেল, মোস্তাফিজ অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। তারা জানে কিভাবে চাপ নিতে হয়। এছাড়া তরুণদের মধ্যে রনি, রাহী খুব ভালো বোলার। যদি স্পিনের কথা বলেন, সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সেরা। অপু ভালো করছে। ওদের স্পিন যদি দেখেন, রশিদ আছে মুজিব আছে। দুইটা কম্পায়ার করা কঠিন। তারপরও আমি বলবো আমাদের বোলিং আক্রমণটা অনেক সমৃদ্ধ, যদি অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করেন।
ব্যাটিং ইউনিটকে এগিয়ে রাখলেও বাংলাদেশ দলে নেই কোনো ব্যাটিং কোচ। তাই সিনিয়র ক্রিকেটারদেরই নিজেদের পাশাপাশি তরুণদের ব্যাটিংয়ের দিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে বোলিংয়ে পারদর্শী প্রধান কোচের অস্থায়ী দায়িত্বে থাকা কোর্টনি ওয়ালশও বেশ সাহায্য করেন, এমনটাই জানালেন রিয়াদ।
বলেন, ‘যেদিন আমাদের ক্যাম্প শুরু হয়। মাশরাফি ভাই ছিলেন, তামিম-মুশফিক ছিল। ব্যাটসম্যানদের গ্রুপে যারা ছিল আমরা প্রত্যেকেই কথা বলেছি। আমরা মনে করি এটা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ। কতটুকু নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে সামনে এগুতে পারি। যদিও ওয়ালশ আছেন, সুজন ভাই আছেন। উনারা সাহায্য করছেন। এই যেমন গত পরশু আমি যখন নেটে ব্যাটিং করছিলাম, অনেক বেশি তাড়াহুড়া করছিলাম। তখন ওয়ালশ এসে আমাকে সাজেশন দিলেন, বললেন- তুমি তোমার টাইমিংটার উপর আরও একটু খেয়াল করো। এরপর আমি কিছুটা সময় নিয়ে ব্যাটিং করলাম। এভাবেই সে ছোট খাটো উপদেশ দিয়ে সাহায্য করছেন। ওটা আমার কাজেও লেগেছিল। সবাই সাহায্য করছে। এখন এটা আমাদের দায়িত্ব, এই দায়িত্ব নিয়ে আমরা যেন সেরা পারফরম্যান্সটা করতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এমকেএম/এসএইচ