মোসাদ্দেকের প্রশ্ন হলো, তিনি যদি সত্যিই তার স্ত্রীকে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য অত্যাচার করে থকেন তাহলে কেন তালাকের আগে সেটা জনসমক্ষে এলো না? আর কেনই বা তারা (ঊষা ও তার পরিবার) আগে আইনের শরণাপন্ন হলেন না? তালাকের নয়দিন পরে কেন এ নিয়ে জলঘোলা করছেন তারা?
রোববার (২৬ আগস্ট) রাতে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক স্ত্রী ও তার পরিবারের উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মোসাদ্দেক।
মামলাটি মিথ্যে উল্লেখ করে এই তরুণ টাইগার সদস্য বলেন, এটি একটি সাজানো মামলা এবং তার সামাজিক অবস্থান নিচু করতেই ঊষা ও তার পরিবার এই মামলা দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বনিবনাত হচ্ছিল না। তাই নয়দিন আগেই আমি তাকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছি। আজ তারা আমার নামে যৌতুক আইনে মামলা করেছে। এটা সাজানো মামলা। আমার সামাজিক অবস্থান হেয় করতেই এটা করা হয়েছে। আমি যদি যৌতুক চেয়েই থাকি সেটা নিয়ে কেন আগে কথা হয়নি? তারা কেন আগে মামলা করেননি? ডিভোর্সের পরে কেন?’
এ পরিস্থিতিতে আপনি কোন পদক্ষেপ নেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ঝামেলা পছন্দ করি না। আমার কাছে যদি তাদের কোনো পাওনা থেকে থাকে সেটা তারা নিয়ে যাক’।
উল্লেখ্য, রোববার ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন স্ত্রী সামিয়া শারমিন ঊষার।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এইচএল/এনএইচটি