আইসিসি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এবারের বিশ্বকাপের ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে মোট ৪৬০ কোটি বার, যার মধ্যে আইসিসি’র নিজস্ব চ্যানেলেই দেখা হয়েছে ৩৬০ কোটি বার। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আইসিসি’র নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে দেখা হয়েছে আরও প্রায় ১০০ কোটি বার।
২০ মে থেকে শুরু হয়ে জুলাইয়ের ১৫ তারিখে পর্দা নামা পর্যন্ত ফেসবুক ও ইউটিউবে আইসিসি’র পোস্ট করা ভিডিও দেখা হয়েছে ৩৫০ কোটি মিনিট। টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে দেখা হয়েছে ৩০ লাখ বার।
ফেসবুকে টুর্নামেন্টের কনটেন্টগুলোতে ১০০০ কোটি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে আর সংযুক্তি হয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ। এছাড়া ৩ কোটি ১০ লাখ টুইটে বিশ্বকাপের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। এবারের এসব সংখ্যা ২০১৫ বিশ্বকাপের চেয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ বেশি বলে দাবি করেছে আইসিসি।
আইসিসি’র টুইটার পেইজে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিও হচ্ছে, অজি ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে সম্মান দেখানোর জন্য সমর্থকদের প্রতি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির আহবান জানানোর মুহূর্ত। ম্যাচের এক ওভারের বিরতির মাঝে এই মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ে, যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে। এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রতি বিশ্বকাপেই এই ম্যাচটি ঘিরেই দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এবার এই ম্যাচ অন্য কারণেও রেকর্ড গড়েছে। টুইটারে সবচেয়ে বেশি চর্চিত ওয়ানডে ম্যাচের রেকর্ড গড়েছে, সংখ্যায় যা ২০ লাখ ৯০ হাজার।
দ্বিতীয় চর্চিত ম্যাচটি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনাল। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচ।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এবার আইসিসি ও বিশ্বকাপের নতুন ফলোয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ। পুরো আসরে মোট ২২ হাজারটি ভিডিও কনটেন্ট প্রকাশ করেছিল আইসিসি। এগুলো ৪৮ কোটি ১ লাখ সংযুক্তি পেয়েছে, যার ৬০ শতাংশই এসেছে ইনস্টাগ্রাম থেকে।
আইসিসি’র ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মোট ব্যবহারকারী ৭ কোটি ৫ লাখ এবং আসর চলাকালীন ‘পেইজ ভিউ’ ছিল ২ কোটি ৭২ লাখ। আইসিসি’র অ্যাপ ব্যবহার করে ‘ফ্যান্টাসি টিম’ তৈরি হয়েছে ৪১ লাখের বেশি। এই সময়ে বিভিন্ন দেশে অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোরে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপের তালিকায় শীর্ষে চলে আসে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল অ্যাপ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস