ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

মেসি আমাকে সেরা কোচ বানিয়েছে: মরিনহো

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
মেসি আমাকে সেরা কোচ বানিয়েছে: মরিনহো মেসি ও মরিনহো, যখন প্রতিপক্ষ ছিলেন/ছবি: সংগৃহীত

ক্যারিয়ারে বহুবার লিওনেল মেসি নামক এক ক্ষুদে ফুটবল জাদুকরকে থামানোর ছক কষতে হয়েছে হোসে মরিনহোকে। আর এটাই তাকে সেরা কোচ বানাতে সহায়তা করেছে বলে জানালেন স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’।

রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকাকালীন নিয়মিতই মেসিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতেন মরিনহো। অন্য ক্লাবের হয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।

মেসির জন্য তার কোচিং ক্যারিয়ার কতটা সমৃদ্ধ হয়েছে তা নিয়ে ‘ইএফই’কে মরিনহো বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি আমি খেলোয়াড়দের কাছে কৃতজ্ঞ এবং যারা আমার খেলোয়াড় ছিল না তাদের কাছেও। এমনকি যারা আমার জন্য সমস্যা তৈরি করেছিল তাদের কাছেও। ’

মেসির প্রসঙ্গে পর্তুগিজ কোচ বলেন, ‘উদাহরণস্বরূপ, মেসি আমার দলের জন্য কখনোই খেলেনি, কিন্তু সে আমার বিপক্ষে খেলেছে এবং সে আমাকে আরও ভালো কোচ বানিয়েছে। কারণ তাকে থামানোর জন্য আমাকে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। শুধু মেসি কেন, আরও যেসব বিখ্যাত খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হয়েছি আমি তাদের কথাও বোঝাতে চেয়েছি। ’ 

রিয়াল মাদ্রিদে শেষটা ভালো হয়নি মরিনহোর। কিন্তু স্পেনের রাজধানীতে ফেরার রাস্তা তার জন্য এখনও খোলা আছে। আর তাই বেশ নরম সুরেই অধ্যায় নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মরিনহো বলেন, ‘সেখানে (রিয়ালে) আমার তিনটি ভালো বছর কেটেছে। অবশ্যই ওই সময়টা কঠিন আর সমস্যাসঙ্কুল ছিল, কিন্তু এটাই পেশাদারী জীবন।

‘এটা মোটেই সহজ ছিল না। সেখানে আমার দারুণ কিছু স্মৃতি আছে। আমি যখন ছিলাম তখন রিয়ালের জন্য কঠিন সময় অতিবাহিত হচ্ছে। এটা সেই সময় যখন বার্সেলোনা প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। ’

রিয়াল অধ্যায় নিয়ে কথা বলতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পর্তুগিজ উইঙ্গারের সঙ্গে কাজ করেছেন মরিনহো। তাদের সম্পর্কও ছিল দারুণ। যদিও শেষটা মধুর হয়নি।

সাবেক শিষ্যকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মরিনহো বলেন, ‘রোনালদো একজন ফেনোমেনন। সে এমন একজন যে শুধুই জিততে আর খেলায় উন্নতি করায় মনোযোগী। সে যা করছে তা আমাকে মোটেই অবাক করে না। ৩৪ বছর বয়সেও সে শীর্ষ দলের শীর্ষ খেলোয়াড়। সে এক কেস স্টাডি, শারীরিক ও মানসিক দু’ভাবেই। ’

আরও অনেক বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা প্রায়ই বলেন রোনালদো। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ নিজেও এমনটাই মনে করেন, ‘আমি মনে করেই রোনালদোর বয়স যখন ৫০ হবে, সে ঘরেই থাকবে আর ফিফা তাকে কিংবদন্তিদের খেলায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাবে। সে ওই ম্যাচে খেলবে এবং গোলও করবে। এটা সবসময়ই এমনই থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।