ইডেনে যদিও মাত্র আড়াই দিনের কম সময়ই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে কাগজে-কলমে এই তিন দিনের ম্যাচে দর্শক-সমর্থক ছিল টইটুম্বুর।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে গাঙ্গুলী বলেন, ‘চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন (দর্শকরা তাদের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছে)। আপনি কি এটা দেখছেন? আপনি কি টেস্ট ক্রিকেটে এমনটি আগে কখনো দেখেছেন। শেষ কোন টেস্ট ম্যাচে দর্শকদের এমন চেঁচামেচি শুনেছেন? মনে হচ্ছে এটা কোনো বিশ্বকাপের ফাইনাল। ’
ভারতের টেস্ট ইতিহাসে অন্যতম সফল ম্যাচ ছিল ২০০১ সালে এই কলকাতাতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। যেবার ভিভিএস লক্ষণ ও রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। আর ভারত-বাংলাদেশের এই টেস্টটি সেদিনের ম্যাচের উত্তেজনার সঙ্গেও মেলে বলে মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেট বস।
তিনি আরও বলেন, ‘ওহ! এটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। তুমি যদি আমার কাছে জানতে চাও তবে বলবো এটা আমাকে ২০০১ সালের সেই টেস্টকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট এমনই হওয়া উচিৎ, দর্শকে ঠাসা একটি ম্যাচ। ’
কলকাতা টেস্টে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেননি গাঙ্গুলী। করেবনই বা কেন, এটা যে উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবার গোলাপি বলে খেলতে নেমেছিল ভারত ও বাংলাদেশ। এই টেস্টকে কেন্দ্র করে দুদেশের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও সেলিব্রেটিরাও ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএমএস