দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলেছে বাংলাদেশের যুবারা। এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রংপুরের ছেলে অধিনায়ক আকবর আলী।
২৪ জানুয়ারি গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দুই দিন আগে জমজ সন্তান প্রসব করতে গিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান আকবরের বড় বোন। খবরটি আকবরের পারিবার তাকে দেননি। পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে এ ভয়েই দুঃসংবাদটি আকবরের কানে পৌঁছায়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পরেই আকবরকে জানানো হয়, তার বোনের মৃত্যুর সংবাদ। শোনার পর ভেঙে পড়েছিলেন যুবা অধিনায়ক। কিন্তু দলের অন্যান্য সদস্যরা তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করেন।
পুরো দলের দাযিত্ব আকবরের ওপর। তাই তিনিও আর দল ছেড়ে আসেননি। তবে বড় বোন হারানোর কষ্ট কি ভোলা যায় আর! তারপরও ঠান্ডা মাথায় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা ঠিকই ঘরে তুলেছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।
দলীয় সূত্রে জানা জানা যায়, বড় বোনের সঙ্গে আকবরের সম্পর্ক ছিলো মায়ের মতোই। ছোট ভাইয়ের কোনো আবদারই অপূর্ণ রাখেননি তিনি। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বো্ন ছিলেন সবার বড়।
এই সকল তথ্যই সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার মোহাম্মদ কায়সার। তিনি জানান, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দুই দিন আগে আকবরের বোন মারা গিয়েছিলো। কিন্তু তার পরিবার খবরটি দিতে মানা করেছিলো। ম্যাচের পর আকবরকে জানানো হয়। আকবর অবশ্য শোনার পর ভেঙে পড়েছিলো। কিন্তু দল ছেড়ে আর আসেনি। ’
নিঃসন্দেহে আকবর দেশে জন্য অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন। হয়তো এই ঋণ কোনোদিন শোধ করা যাবে না। বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণ অধিনায়ককে শুধু স্যালুট দিয়ে সম্মান করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
আরএআর/ইউবি