মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিম্বাবুয়ে বড় স্কোর তাড়া করে কাছাকাছি পৌঁছার বিষয়ে মাশরাফি বলেন, যখন ওদের ইনিংস ১৪০।
তিনি বলেন, মিরাজের ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যান বাহাতি ও ডানহাতি। এছাড়া কুয়াশা ছিল। ওইসময় তাইজুলের জন্য কঠিন ছিল। যে কারণে দ্রুত তাকে তুলে নেই। রিয়াদকে দিয়েও দ্রুত চার ওভার করিয়ে রেখেছিলাম। ওইসময় মিরাজকে দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। পেস বোলারকে যেভাবে খেলছিল তাতে খুবই কঠিন ছিল।
মাশরাফি বলেন, আজকে আগের ম্যাচে একটু বেশি ডিউ ছিল। আর উইকেট আগের ম্যাচের থেকে সহায়ক ছিল।
সাইফুদ্দিন থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, যে দু’জন খেলছে তাদের রেকর্ডও বিগত ম্যাচগুলোতে ভালো। তবে দিন যে কারোর জন্য ভালো হতে পারে। সাইফুদ্দিন সবসময় স্পেশাল ডেথার ঠিকই, কিন্তু সে তার চেয়েও খারাপও করতে পারতো।
‘তবে জিম্বাবুয়ের জন্য খুবই কঠিন ছিল ম্যাচটা এ পর্যায়ে নিয়ে আসা। সিকান্দার রাজা ও তিরিপানো আরও লং টাইম ব্যাট করলে ম্যাচটা ক্লোজ হতে পারতো। মাঝখানে ফিফপি ফিফটি চান্স ছিল। শেষে ম্যাচটা এমন হয়েছে আমরা হারতেও পারতাম। ’
দলে কোনো ঘাটতি আছে কিনা, এজন্য কি করা যেতে পারে? এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, একজন সাকিব পেতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। সাইফুদ্দিনও খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খেলছে। তার ফ্রেকচারের কারণে খেলানোটা সমস্যা ছিল। কারণ এখন যদি সে ইনজুরিতে পড়ে তাহলে বছর দেড়েক নিয়ে টান দেবে। আর মোস্তাফিজকে কীভাবে ম্যানেজড করছে সেটা ম্যানেজম্যান্ট জানে। তবে ম্যাচ হারলেও আমি সাইফুদ্দিনকে না খেলানোর পক্ষে ছিলাম। আর ম্যানেজম্যান্ট হয়তো চাচ্ছে সামনে আরও বড় ম্যাচ আছে, সেগুলোর জন্য তাকে আর মোস্তাফিজকে প্রস্তুত রাখা।
দলে অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে কিছু ছেলে আসছে। তাদের লং টাইম প্রসেস করে আনতে হবে। একজন সাইফুদ্দিন, মোস্তাফিজের পেছনে বোর্ডের অনেক স্যাকরিফাইজড আছে।
নিজের ফিটনেস নিয়ে গত ম্যাচের তুলনায় সাচ্ছন্দবোধ নিয়ে তিনি বলেন, আগের ম্যাচ থেকে এ ম্যাচে একটু ভালো খেলেছি। বল জায়গা মতো ফেলতে পেরেছি।
সংবাদ সম্মেলনে জিম্বাবুয়ের পক্ষে শন ইউলিয়ামস বলেন, ম্যাচটি জেতার চেষ্টা করেছি আমরা। বিশেষ করে সেকান্দার আর ত্রিরিপানো কিছু সময় থাকলে ম্যাচ জিততে পারতাম।
তামিম ইকবালের প্রশংসা করে তিনি বলেন, হি ইজ এ নাইস প্লেয়ার অ্যান্ড এক্সিলেন্স প্লেয়িং।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এনইউ/আরবি/