শনিবার দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উড়োজাহাজটিকে গ্রহণ করা হয়।
রানওয়ে থেকে টারমাকে আসার পর রীতি অনুযায়ী দুইটি জলযান থেকে পানি ছিটিয়ে ‘ওয়াটার ক্যানন স্যালুট’ এর মাধ্যমে উড়োজাহাজটিকে স্বাগত জানানো হয়।
১৬৭ আসনের এই উড়োজাহাজে ৮টি বিজনেস এবং বাকি ১৫৯টি ইকোনমি আসন। আসন বিন্যাস ও পরিসরতার জন্য এই উড়োজাহাজে ভ্রমণ বেশ আরামদায়ক হবে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে পরিচালন ছাড়পত্র পাওয়ার পরই উড়োজাহাজটি রুটে দেওয়া হবে। এর ফলে রিজেন্টের মাসিক ফ্লাইট সংখ্যা দাঁড়াবে সাতশ’তে।
উড়োজাহাজ গ্রহণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুফ হাবিব বলেন, ‘চলতি বছরে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন প্রজন্মের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির এই উড়োজাহাজটি বহরে যুক্ত করা হয়েছে। আগামী মাস থেকে কাতারের দোহা এবং সৌদি আরবের দাম্মাম রুটে পরিচালনা করা হবে ।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) এম. ফজলে আকবর জানান, চলতি বছরেই আরও ৩টি উড়োজাহাজ যুক্ত হবে রিজেন্ট বহরে। ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং একটি বোয়িং ৭৭৭-২০০। এ তিনটি উড়োজাহাজ দিয়ে নতুন ৫টি আন্তর্জাতিক রুট গোয়াংজু (চীন), জাকার্তা (ইন্দোনেশিয়া), কলম্বো (শ্রীলংকা), মালে (মালদ্বীপ) এবং জেদ্দায় (সৌদি আরব) পরিচালনা করা হবে।
২০১০ সালের ১০ নভেম্বর দুটি ড্যাশ-৮ কিউ উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রা শুরু করে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই ২টি বোয়িং ৭৩৭-৭০০ উড়োজাহাজ দিয়ে কুয়ালালামপুর রুটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে অভিষেক হয়। বর্তমানে মাসকাট, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কলকাতা, কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক রুটে এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ রুটে চলছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
টিসি