ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পর্যটন

দলগত সাইকেল ভ্রমণে শ্রীমঙ্গল টু কালেঙ্গা  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
দলগত সাইকেল ভ্রমণে শ্রীমঙ্গল টু কালেঙ্গা   বিটি সাইক্লিস্টস গ্রুপের সদস্যরা রেমাকালেঙ্গায়। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : প্যাডেলে ক্রমান্বয়ে পা ঘুরালেই মাটি স্পর্শ করে বাতাসের ঠিক মাঝখান দিয়ে ছুটে যায় বাইসাইকেল। চারপাশের নানা দৃশ্যপট তখন চোখের সীমারেখায় এসে হৃদয়ের মাঝে ভালোলাগার পাপড়ি ছড়ায়। দ্বিচক্রযানে ছুটে বেড়ানোর আনন্দ এখানেই। 

হারিয়ে যাবার নেই মানা-এ কথাটি মর্মে মর্মে অনুভূত হতে থাকে চলমান বাতাসের ভেতর দিয়ে এমন ছুটে চলায়।  

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিডিসাইক্লিস্টস গ্রুপের ১১ সদস্যের একটি দল বাইসাইকেল নিয়ে দিনব্যাপী শ্রীমঙ্গল-রেমাকালেঙ্গা ভ্রমণ করেছে।

 

তারা হলেন- মো. হেদায়েতুল হাসান ফিলিপ, রাশেদুল ইসলাম, রাফিউল হাসান, রাশেল রহমান, শাকিল মাহমুদ, ইসমাম নেহাল, সাজিদ রাব্বি, উপোল, নাহিদ, আসাদউল্লাহ ও জেক।  

টিম লিডার মো. হেদায়েতুল হাসান ফিলিপ বাংলানিউজকে বলেন, হেমন্তের লং রাইডের অংশ হিসেবে আমরা শ্রীমঙ্গল টু রেমাকালেঙ্গা বেছে নিয়েছি। শুক্রবার ভোরেই আমরা বাসে করে শ্রীমঙ্গল এসে পৌঁছেছি। কিছুক্ষণের বিশ্রাম শেষে যাত্রা শুরু করি রেমাকালেঙ্গার উদ্দেশে। শুক্রবার রাতেই ঢাকার উদ্দেশে আমরা রওনা হবো।  

ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, নিয়মিত সাইকিলিংটাকে প্রমোট করাই আমাদের উদ্দেশ্য। বাইসাইকেল মানুষের জন্য একটি মূল্যবান বাহন। এটি এক্সারসাইজের একটি পার্ট। রেগুলার লাইফে বাইসাইকেল নিয়ে অফিসে যাওয়া-আসার ফলে সময় কম লাগবে এবং এখানে শারীরিক সুস্থতার বিষয়টিও রয়েছে। সাইকিলিংটাকে প্রমোটসহ শহরের সীমাহীন যানজট থেকে রক্ষাসহ নানাবিধ সুবিধার কথা চিন্তা করে তৈরি হয় বিডিসাইক্লিস্টস গ্রুপটি। গ্রুপটির মূল উদ্যোক্তা মোজাম্মেল হক। এখন এই গ্রূপ আছেন ফুয়াদ আহসান চৌধুরীসহ আরও অনেক মডারেটর, এক্টিভিস্টস ও সদস্য।  

তিনি আরও বলেন, সাইকেলের সেফটির ব্যাপারটিও রয়েছে। সুরক্ষার জন্য হেলমেট, গ্লাফস ইত্যাদি পরে সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তোলা।  এই গ্রুপের সদস্য এখন ৭৯ হাজারের উপরে।  

বিটি সাইক্লিস্টস গ্রুপের সদস্যরা রেমাকালেঙ্গায়।  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমতিনি আক্ষেপ করে বলেন, কালেঙ্গা ভ্রমণের সময় আমরা দেখলাম কয়েকটি স্থানে রাস্তার দু’পাশে গাছ নেই। গত জানুয়ারি মাসে যখন সাইক্লিং ট্যুরে আসলাম তখনও দেখেছিলাম গাছগুলো; কিন্তু এবার দেখলাম না। অনেক স্থানে লেবু বাগান হচ্ছে।  

টিম লিডার মো. হেদায়েতুল হাসান ফিলিপ আরও বলেন, আমাদের দেশে এমনিতেই বন নেই বললেই চলে। তারপরও যেটুকু বন রয়েছে তাও যদি কাটা হয়ে যায়, তাহলে প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মভাবে বিপর্যয়ের শিকার হয়ে পড়বে। তাই বনের মধ্যে যে গাছগুলো মাটিতে পড়ে থাকে সেগুলোই যেন কাটা হয়। নতুন করে গাছ যেন না কাটা হয়। তারপর নতুন করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।  

বিডিসাইক্লিস্টস গ্রুপের অপর সদস্য শাকিল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, কালেঙ্গা বনে প্রবেশে সময় দেখলাম কয়েকটি কাঠের সাকো ভাঙা রয়েছে।  

কালেঙ্গা বনটি এখনো অনেক বন থেকে ভালো রয়েছে এ জন্য যে এখানে যাত্রাপথ বেশ দুর্গম। সহজে যাওয়া যায় না। এখনো পিকনিকের জন্য লোকজন ভিড় করে না এখানে। যারা যান তারা সবাই ইকোট্যুরিজম সম্পর্কে গভীর ধারণা রেখেই যান। সুতরাং এই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় এই বনটি লাউয়াছড়া বা সাতছড়ি অথবা অন্যান্য বন থেকে অনেকটাই ভালো বলে জানান মো. হেদায়েতুল হাসান ফিলিপ।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭ 
বিবিবি/পিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।