ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাসিকের মসনদে ফিরলেন লিটন

শরীফ সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
রাসিকের মসনদে ফিরলেন লিটন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নগরপিতা নির্বাচিত করেছেন ভোটাররা। এর মাধ্যমে ২০০৮ সালের পর রাজশাহীর মসনদে ফিরলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকা এ রাজনীতিক।

সোমবার (৩০ জুলাই) রাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারান লিটন।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের লিটনের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬। আর প্রতিদ্বন্দ্বী বুলবুলের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭৭ হাজার ৭০০। ভোটের ব্যবধান ৮৭ হাজার ৩৯৬।  

যদিও নির্বাচনে বুলবুল নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। একইসঙ্গে ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে তিন সিটিতে ফের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হয় লিটন ও বুলবুলের মধ্যে। অপর তিন প্রার্থী হলেন- কাঁঠাল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী হাবিবুর, হাতি প্রতীকে গণমঞ্চ ও গণসংহতি আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ এবং হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সজল নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থককে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটে।  এছাড়া রাসিক নির্বাচনে আর কোনো অপ্রিতীকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।  

রাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সকালে তার নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় লিটন সমৃদ্ধ রাজশাহী গড়ার স্বপ্ন দেখান। বিজয়ী যে-ই হোক, রাজশাহীর উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবেন বলেও জানান।

আর স্যাটেলাইট স্কুল মাঠ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভোট দেননি বিএনপি মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন,  ‘যে দেশে গণতন্ত্র নেই সেখানে আমার ভোট দিয়ে কোন লাভ নেই, কারো সঙ্গে কোনো ঝামেলাও করতে আমি রাজি নই’।

এদিকে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু অনিয়ম ছাড়া সার্বিকভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। যেসব কেন্দ্রের বিষয়ে অভিযোগ এসেছে, তা তদন্ত হবে বলেও নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিইসি।

রাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, নির্বাচনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২১৭ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। আর ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আছেন ১৬০ জন প্রার্থী। এছাড়া ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী ৫২ জন।

এবার সিটি করপোরেশনের ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। মোট ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন। রাজশাহীতে এবার মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৮টি এবং বুথের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২০টি। এবার নগরীর দু’টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ